ব্রণমুক্ত ত্বক রাখার সেরা উপায় সমুহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো ব্রণমুক্ত ত্বক রাখার উপায় সম্পর্কে। শুধু যে বয়সের কারণে ব্রণ বের হয় তা কিন্তু নয় অন্যান্য কারণেও ব্রণ বের হয়। রাত জাগা, দুশ্চিন্তা, রোদে পড়া এগুলো কারণেও মুখে ব্রণ হতে পারে।নবাবর্তমানে ব্রণ একটি বড় সমস্যা। ছেলেমেয়ে সবারই এই সমস্যাটি হয়।
মুখে ব্রণ বের হলে দেখতে খারাপ লাগে। ব্যাথা করে, মুখ চুলকাই। ব্রণের আবার কারণে মুখে খত সৃষ্টি হয় এবং সেটা বেশি নাড়াচাড়া করলে কালো দাগ হয়ে যায়।
ভূমিকা - ব্রণমুক্ত ত্বক রাখার উপায়
ব্রণ যেহেতু একটি স্বাভাবিক সমস্যা তাই একটু সচেতন হলে এবং একটু সাবধানতা অনুসরণ করলেই এই সমস্যা থাকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। কিছু কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন পরিষ্কার পরিছন্ন থাকলে এবং ঘরোয়া টিপস গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাব। আজকের পোস্টে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করবো।
ব্রণ কি - ব্রণমুক্ত ত্বক রাখার উপায়
ব্রণ হলো মানব ত্বকের একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগবিশেষ যা বিশেষত লালচে ত্বক, প্যাপ্যুল, নডিউল, পিম্পল, তৈলাক্ত ত্বক, ক্ষতচিহ্ন বা কাটা দাগ ইত্যাদি দেখে চিহ্নিত করা যায়। একটা নিদিষ্ট বয়স পর আমাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
মুখে ব্রণ হলে আমাদের ত্বক দেখতে অনেক খারাপ লাগে। তবে কিছু কিছু ঘরোয়া টিপস গ্রহন করলে এই সমস্যা অনেক কম হবে। অনেক এ বলে ব্রণ বয়সের কারন এ হয়। আবার কেউ কেউ বলে যে মুখে ময়লা জমে থাকার জন্য ব্রণ হয়ে থাকে।
ব্রণ হওয়ার কারণ কি - ব্রণমুক্ত ত্বক রাখার উপায়
শুধু যে বয়ঃসন্ধিকালের জন্য মুখে ব্রণ হয় তেমন কিন্তু না। বিভিন্ন কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে।
- বেশি রাত জাগা
- অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা
- খারাপ চিন্তা ভাবনা করা
- পানি কম খাওয়া
- ত্বকের যত্ন না নেওয়া
- তেল মসলাদার খাবারের প্রতি বেশি ঝোঁক
- অনিয়মিত জীবনযাপন করা
- মুখ না ধোয়া
- পরিষ্কার পরিছন্ন না থাকা
- মানসিক চাপ
- খারাপ প্রসাধনী ব্যাবহার করা
- হরমোন জনিত সমস্যা
- ধূমপান, মদ পান করলে
- জিনগত সমস্যা
ব্রণ ভালো রাখার উপায় - ব্রণমুক্ত ত্বক রাখার উপায়
- মুখ সবসময় পরিস্কার রাখা।
- ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে যেকোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করা।
- খারাপ চিন্তা ভাবনা না করা।
- নিদিষ্ট একটা বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করা।
- কোন বিউটি প্রোডাক্ট কিনার সময় তার মেয়াদ/ পিএইচ এগুলোর মান যাচাই করে কিনা।
- খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করা
- বেশি বেশি পানি পান করা
- তৈলাক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করা
- ব্রণ হলে খোঁটানো যাবে না
ছেলেদের মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ
ব্রণ হওয়ার কারণগুলো আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি। উঠতি বয়সে ব্রণ বেশি হয়। এই সময় ছেলেদের শরীরে হরমোন এর পরিবর্তন হয়। হরমোনের পরিবর্তনের সাথে সাথে ত্বকেরও পরিবর্তন হয়। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ব্রণের তীব্রতা একটু বেশিই হয়।
ছেলেরা বাইরে বেশি চলাফেরা করে এতে বাইরের ধুলাবালি আমাদের ত্বকের লোমকূপে জমা হয় এবং ব্রণের সৃষ্টি হয়। মানহীন প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে ব্রণ হয়। ছেলেরা সাধারণত খারাপ চিন্তা ভাবনা বেশি করে ( সেক্সয়ালি) যার কারণে ব্রণ হতে পারে। অনেক সময় ঋতু পরিবর্তনের কারণেও ত্বকে ব্রণ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্রণ হলে করনীয় - ব্রণমুক্ত ত্বক রাখার উপায়
উঠতি বয়সে ব্রণ হতেই পারে। সুতরাং ভয়ের কোন কারণ নেই। ব্রণ একটি স্বাভাবিক সমস্যা তাই ব্রণ হলে মুখে হাত দেওয়া যাবে না। হাত দিলে ব্রণ আরও বড় ও বেশি হয়। অনেক খুঁটাখুঁটির কারণে ত্বকে সংক্রমণ বেড়ে যায় খত সৃষ্টি হয়। ব্রণ থেকে কালো দাগও সৃষ্টি হয়।
- ব্রণ হলে ব্রণের ওপর কোন প্রসাধনী লাগানো যাবে না।
- পানি দিয়ে মুখ আলতো করে ধৌত করা।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
- ব্রণযুক্ত ত্বক সেভ না করা
- অনেক বার শুধু পানি দিয়ে মুখ ধৌত করা
- প্রচুর শাকসবজি ফলমূল খাওয়া
- ভাজাপড়া না খাওয়া
- ব্রণে হাত না দেওয়া
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
মুখে ব্রণ হলে কালো দাগ দূর করবো কীভাবে
ব্রণ হলে সেই ব্রণ থেকে কালো দাগ হয় যার কারণে ত্বক দেখতে অনেক খারাপ লাগে। এই দাগ দূর করার কিছু ঘরোয়া টিপস হলঃ
- শসার রস ব্যবহার করে মুখের কালো দাগ দূর করা যায়।
- আপেল ও মধুর মিশ্রণ ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আপেলের পেস্ট তৈরি করে এতে ৫-৬ ফোঁটা মধু মিশিয়ে পেস্টটি মুখে লাগিয়ে রাখুন।
- তুলসি পাতার রসে আছে আয়ুর্বেদিক গুণ। তুলসি পাতার রস খত স্থানে লাগিয়ে কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- ডিমের সাদা অংশ দিনের যেকোনো সময় ডিমের সাদা অংশ ব্রণের জায়গাই লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়ে যাবে।
লেখকের মন্তব্য - ব্রণমুক্ত ত্বক রাখার উপায়
সব মিলিয়ে বলা যায়, ব্রণমুক্ত সুন্দর ত্বকের জন্য আমাদের একটু সচেতন হতে হবে। উপরিক্ত টিপসগুলো কাজে লাগাতে হবে। বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। পাক পবিত্র থাকতে হবে।
তথ্যগুলো ভাল লেগে থাকলে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন। কোন বিষয়ে জানার থাকলে কমেন্ট করে বলে দিন। আর বন্ধুদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানের সুযোগ করে দিন ধন্যবাদ।
রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url