সিয়াম ভঙ্গের কারণ ও মাসআলা সম্পর্কে জানুন

ইসলাম ধর্ম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। সবগুলো ধর্মের ইসলাম হল সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। ইসলাম ধর্মের প্রধান প্রধান ইবাদতের মধ্যে সিয়াম হল অন্যতম। রমজান মাসে আমরা সিয়াম পালন করে থাকি। রমজান মাস হচ্ছে রহমত ও বরকতের মাস। এই মাস আল্লাহর কাছে এতো প্রিয় যে আল্লাহ্‌ এই মাসে কবরের আজাব পর্যন্ত বন্ধ থাকে। এই মাসে আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল করা হয়েছিল। সকল মুসলিম ভাই বোনদের কাছে এই মাসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আজকের পোস্টে আমরা সিয়াম ভঙ্গের কারণ ও মাসআলা সম্পর্কে জানবো।
রমজানকে বলা হয় গুনাহ মাফের মাস। বিগত বছরে আমরা যত গুনাহ করেছি তার সবগুলই আল্লাহ্‌ মাফ করে দিবেন যদি আমরা তওবা করি যে আর কোন রকম পাপ কাজ করবো না । আল্লাহ্‌র ইবাদত করবো শুধু তাহলে আল্লাহ্‌ আমাদের জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন।

ভূমিকা

সিয়াম অর্থ বিরত থাকা। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছুবাহে ছাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হতে বিরত থাকাকে ছাওম বলা হয়। ২য় হিজরি সনে সিয়াম আমাদের ওপর ফরজ করা হয়। রাসুলাল্লাহ (ছাঃ) বলেন, `যে ব্যাক্তি ইমানের সাথে ছওয়াবের আশায় সিয়াম পালন করবে,তার বিগত সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় (আমিন)।

সুতরাং বোঝায় যাচ্ছে সিয়াম আমাদের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। অতএব আমাদের সিয়াম ভঙ্গের কারণ ও মাসআলা সম্পর্কে আগে ভালো করে জানতে হবে। কেননা ভুল ইবাদত আল্লাহ্‌র দরবারে কবুল হবে না।

সিয়াম ভঙ্গের কারণ ও মাসআলা

সিয়াম আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। সুতরাং সিয়াম পালন করার সময় এমন কিছু না হয় যেন সিয়াম ভেঙ্গে যায়। আমাদের সিয়াম পালন করার পূর্বেই সিয়াম ভঙ্গের কারণ ও মাসআলা সম্পর্কে জানতে হবে।

  • স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হয়াঃ রোজা ভঙ্গের প্রথম ও প্রধান কারণ এটি। এটি একটি বড় গুনহার কাজ। সহবাসে লিপ্ত বলতে পুরুষের লিঙ্গ মহিলার জননেন্দ্রিয়ে প্রবেশ করানো। সিয়াম অবস্থাই উক্ত কাজ করলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং গুনহা হবে।
  • ইচ্ছাকৃত পানাহার করাঃ সিয়াম অর্থ বিরত থাকা অর্থাৎ সকল প্রকার খাদ্যদ্রব্য থেকে নিজেকে বিরত রাখা। মুখ, নাক বা কান দিয়ে কোন দ্রব্য ভিতরে প্রবেশ করানো।
  • ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করলেঃ বমি মানে পাকস্থলী থেকে খাবার পানীয় মুখ দিয়ে বের করে দেওয়া। উক্ত কাজ করলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • বীর্যপাত করলেঃ সিয়াম অবস্থায় মনে মনে কামভাব বাসনা করার মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটানো নাহলে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটালে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • কুলি করার সময়ঃ নামাজের জন্য ওযু করা অথবা গোসলের সময় যদি হলকের নিচে পানি চলে যায় (রোজার কথা স্মরণ না থাকলে ভাঙ্গবে না ) তাহলে সিয়াম ভেঙ্গে যাবে।
  • কিছু গিলে ফেললেঃ কঙ্কর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে সিয়াম ভেঙ্গে যায়।
  • ইনজেকশনঃ শরীরে প্রবেশ করলে শক্তি পাওয়া যাবে অর্থাৎ খাবার গ্রহণ করলে যেমন শক্তি পাওয়া যায় ঐরূপ শক্তি পাওয়া যায় এই রকম ইনজেকশন গ্রহণ করলে।
  • দাঁত থেকে কিছু গিলে ফেললেঃ সেহেরী খাওয়ার সময় আমাদের দাঁতের কোনায় কোনায় খাবার লেগে থাকতে পারে পরবর্তী সময় আমরা যদি দাঁত থেকে উক্ত খাবার জিহ্বা দিয়ে বের করে খায় তবে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
  • ধূমপান করলেঃ মাদকদ্রব্য সেবন করা আমাদের ইসলাম ধর্মে হারাম। এমনকি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় কোন ইবাদত আল্লাহ্‌র নিকট কবুল হয়না। সিয়াম অবস্থায় যদি কেও ধূমপান, গাঁজা সেবন করে তাহলে তার সিয়াম ভেঙ্গে যাবে।
  • নাকে ড্রপঃ আমাদের অনেকের নাকে পলিপাস আছে যার জন্য আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করতে অনেক সমস্যা হয়। তাই আমরা অনেক তরল ড্রপ ব্যবহার করি । নাকে কোন ড্রপ দিলে সেটা সরাসরি আমাদের গলা দিয়ে পাকস্থলীতে চলে যায় এবং সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • নিয়ত না করলেঃ প্রতিটি ভালো কাজ করার পূর্বে আমাদের নিয়ত করতে হয়। ভালো কাজের নিয়ত করলে উক্ত কাজের ফজিলত আল্লাহ্‌ বাড়ায় দেই। তাই আমাদের সিয়াম করার নিয়ত করে নিতে হবে।
  • ঋতুস্রাব বা মাসিকঃ মেয়েদের মাসিকের রক্তস্রাব শুরু হলে অথবা সন্তান জন্মদানের সময় হলে সিয়াম ভেঙ্গে যায়।
  • রাত্রি আছে মনে করাঃ সেহেরীর পর রাত্রি আছে ভেবে ছোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
  • মুখে কিছু রাখাঃ মুখে পান, পানি অথবা অন্যকিছু রেখে পরে মুখ থেকে গিলে ফেললে সিয়াম ভঙ্গ হয়।
  • সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করাঃ ইফতারের সময় হয়ে গেছে ভেবে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই ইফতার করলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • জবরদস্তি করাঃ কোন ব্যাক্তিকে জোর করে পানাহার করালেও সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়।
উপরিক্ত কারণগুলো ছাড়াও আরও অনেকগুলো সিয়াম ভঙ্গের কারণ থাকতে পারে। তাই আমাদের সিয়াম ভঙ্গের কারণ ও মাসআলা সম্পর্কে জানতে হবে।

রোজা ভঙ্গ হবে কি হবে না?

  • রক্ত পরীক্ষা করলে < ভঙ্গ হবে না।
  • ইনজেকশন নিলে< ভঙ্গ হবে না।
  • কানে ড্রপ দিলে< ভঙ্গ হবে না।
  • স্বপ্নদোষ হলে< ভঙ্গ হবে না।
  • হিজমা< ভঙ্গ হবে না।
  • অনিইচ্ছাকৃত বমি করলে< ভঙ্গ হবে না।
  • লিপজেল দিলে< ভঙ্গ হবে না।
  • ইনসুলিন নিলে< ভঙ্গ হবে না।
  • স্যালাইন দিলে < ভঙ্গ হবে না।
  • লিপস্টিক দিলে < ভঙ্গ হবে না।
  • সুরমা দিলে < ভঙ্গ হবে না।
  • মলম/বাম দিলে < ভঙ্গ হবে না।
  • চোখের ড্রপ দিলে< ভঙ্গ হবে।
  • ইনহেলার নিলে < ভঙ্গ হবে।
  • ঋতুস্রাব হলে < ভঙ্গ হবে।
  • ধূমপান করলে < ভঙ্গ হবে।
  • নাকের ড্রপ দিলে < ভঙ্গ হবে।
  • সাপজিটর < ভঙ্গ হবে।

রোজা হালকা (মাক্রুহ) হওয়ার কারণ

ছোট খাটো অনেক ভুলের কারণে রোজা মাক্রুহ অর্থাৎ হালকা হতে পারে। তাই আমাদের সবার উচিত সিয়াম ভঙ্গের কারণ ও মাসাআলা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। আসুন আমরা রোজা মাক্রুহ হওয়ার কারণ গুলো জেনে নিই।

  • সেহরি বা ইফতারে এমন কিছু খাবার গ্রহণ করা যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।
  • সিয়াম থাকার পরও মিথ্যা কথা বলা।
  • মানুষের নামে গীবত করা।
  • অশ্লীল কথাবার্তা , গালিগালাজ ।
  • কোন কিছু মুখে রাখা না গিললেও।
  • মুখে কিছু রেখে চিবানো।
  • ওযু করার সময় অথবা গোসলের সময় নাকের ভিতরে পানি টেনে নিলে।
  • ইচ্ছাকৃত ভাবে মুখের লালা জমিয়ে রেখে গিলে নিলে।
  • নাপাক অবস্থায় থাকা।
  • সিয়াম অবস্থায় গন্দগল,মারামারি, জগরা করলে।
  • নাচ,গান , সিনেমা, দেখা।
  • দীর্ঘক্ষণ গোসল করলে অর্থাৎ পানি নিচে বসে থাকলে ।
  • কয়লা, মাজন, পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে (রোজা অবস্থায়)।
  • ইচ্ছাকৃত ভাবে বমি করার চেষ্টা করলে।
  • কোন কিছুর স্বাদ নিলে।
ইত্যাদি আরও অনেক কারণ আছে যেগুলোর জন্য আমাদের সিয়াম হালকা হয়ে যায়। সিয়ামের ফজিলত কমে যায়। তাই আমাদের উচিত উপরিক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে সিয়াম পালন করা। আমাদের সকলের উচিত সিয়াম ভঙ্গের কারণ ও মাসআলা এবং হালকা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা।

মহিলাদের রোজা ভঙ্গের কারণ

আমরা ওপরে রোজা বা সিয়াম ভঙ্গের কারণ, সিয়াম হালকা হওয়া বা ফজিলত কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো মেয়েদের সিয়াম ভঙ্গের কারণ কি কি ?

হায়েজ বা পিরিয়ড
পবিত্র রমজান মাসে সকল মা বোনই রোজা রাখেন।কিন্তু হুট করেই পিরিয়ড বা মাসিকের সময় চলে আসলে কি করবেন বুজতে পারেননা। আবার কিছু কিছু সময় দেখা যায় রোজা আছে দিনের বেলায় তার মধ্যেই ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেছে। এই সময় কি কি করবেন আসুন সেগুলো জেনে নিই।

রোজা অবস্থায় যদি কারও পিরিয়ড শুরু হয় তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। এমন অবস্থায় তিনি কুরআন তিলাওয়াত করা, নামাজ পড়া কোনটাই করতে পারবে না। পরবর্তী যখন পিরিয়ড ভালো হয়ে যাবে তখন আবার রোজা রাখা শুরু করতে পারবে তবে পিরিয়ডের কারণে যে কয়টা সিয়াম পালন করতে পারবে না ঐ কয়টা সিয়াম তিনি অন্য যেকোনো মাসে কাজা হিসাবে আদায় করে নিতে পারবে। তবে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে রোজা, নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াত করতে না পারলেও তারা ইফতার তৈরি, দোয়া করা সহ আরও অন্যান্য ইবাদত করতে পারবে।

নিফাস বা সন্তান প্রসব
আবার সিয়াম এর সময় যদি কোন নারী সন্তান প্রসব করে তাহলে তার সিয়াম ভেঙ্গে যাবে। নিফাস বা সন্তান প্রসবের কারণে মেয়েদের স্রাব ভাঙ্গে যার কারণে সিয়াম ভেঙ্গে যায়। ঐ সময় সিয়াম পালন না করে পরবর্তী সময়ে কাজা করে নিতে হবে হোক সেটা নফল বা ফরজ। কিন্তু নিফাসের পরবর্তী সময়ে নামাজ বা সিয়াম পালন করা যাবে না ।

উক্ত সময় যদি কোন নারী সিয়াম পালন করে কিংবা নামাজ আদায় করে তাহলে তিনি শরিয়তের বিরুদ্ধচরন করবে। ইয়ালামিক বিধান অনুযায়ী তাদের জন্য আল্লাহ্‌ বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন পরবর্তী রোজার আগ মুহূর্তে সময় পর্যন্ত কাজা করে নিতে পারবে।

ঔষধ খেলে কি সিয়াম ভঙ্গ হয় ?

সিয়াম পালন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ। তবে সিয়াম পালন করা অবস্থায় আমাদের ঔষধ সেবন করা প্রয়োজন হতে পারে। সিয়াম অবস্থায় কোন কিছু সেবন করা ,খাওয়া উচিত নয় জানি আমরা যার কারণে ঔষধ খাওয়া নিয়ে আমাদের মনের মধ্যে একটা সংশয় কাজ করে। কোন কোন ঔষধ সেবন করলে বা কোন কোন রোগী এই সব ঔষধ সেবন করলে সিয়ামের কোন ক্ষতি হয়না তা আমাদের জানতে হবে।

  • রোগীর বুকে ব্যথা হলে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে জিহ্বার নিচে স্প্রে করতে পারবে।
  • দাঁতের সমস্যার জন্য পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে যদি পেস্ট পাকস্তলিতে প্রবেশ না করে তাহলে সিয়াম হবে।
  • কোন রোগীর চামড়ায় ইনজেকশন দিলে সিয়াম ভঙ্গ হবে না।
  • শ্বাসকষ্টের রোগী যদি অক্সিজেন গ্যাস নেয় তাহলে সিয়াম ভঙ্গ হবে না।
  • হাড় ভাঙ্গা রোগী প্লাস্টার জনিত ঔষধ ভাঙ্গা স্থানে লাগালে সিয়াম ভঙ্গ হবে না।
  • কানের সমস্যার জন্য ড্রপ ব্যবহার করলে সিয়াম ভঙ্গ হবে না (নাকে দিলে হবে) ।
  • রোগীর পায়ুপথে কোন ঔষধ দিলে সিয়াম ভঙ্গ হবে না।
  • কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস করালে সিয়াম ভঙ্গ হবে না।
  • পাকস্থলির পরীক্ষা করা যাবে কিন্তু তরল কিছু প্রবেশ না করালে সিয়াম ভঙ্গ হবে না।
  • দাঁতের রোগীর জন্য মাউতওয়াস করালে সিয়াম ভাঙ্গে না কিন্তু পাকস্থলীতে যেন প্রবেশ না করে।
  • চামড়া বা ঘা, খত স্থানে মলম লাগালে সিয়াম ভঙ্গ হবে না।
উপরিক্ত বিসয়সহ আমাদের সিয়াম ভঙ্গের কারণ ও মাসআলা সম্পর্কে জানতে হবে।

শরীর থেকে রক্ত বের হলে কি রোজা ভাঙ্গে?

রোজা আমাদের ছোট বড় সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ । রোজা আমাদের জন্য একটি ফরজ ইবাদত। সকল মানুষের উচিত সিয়াম অর্থাৎ রোজা পালন করা। স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরে কোন কিছু প্রবেশ করলে রোজা ভাঙ্গে মানে বাইরের কোন খাবার, তরল পাকস্থলী বা মস্তিস্কে প্রবেশ করলে যদি আমরা শক্তি পাই তবে আমাদের সিয়াম ভেঙ্গে যাই ।

কিন্তু শরীর থেকে কোন কিছু বের হয়ে গেলে সিয়াম ভেঙ্গে যাই না। যদি যেত তাহলে ৯০% মানুষের সিয়াম পালন হত না।কেননা আমরা প্রসাব,পায়খানা করে থাকি এটার কারণেও সিয়াম ভঙ্গ হতে পারতো। সুতরাং বলা যায় যে, রোজা ভঙ্গের সাথে রক্তক্ষরণের কোনই সম্পর্ক নেই। তবে যদি মুখের ভিতর কোন রক্তক্ষরণ হয় র আর রোগী সেটা গ্রহণ করে পাকস্থলীতে যায় তাহলে সিয়াম ভঙ্গ হবে।

রোজা মাক্রুহ হলে করনীয়

ইসলাম ধর্মে রোজা একটি ফরজ ইবাদত। সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই বোনেরা রমজানের সিয়াম পালন করে থাকে । আমাদের সকলের উচিত সিয়াম ভঙ্গের কারণ ও মাসআলা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা। কারণ কোন কোন কারণে সিয়াম ভেঙ্গে যায়, সিয়ামের ফজিলত নষ্ট হয় এবং সিয়াম হালকা হয় সেগুলো আমাদের জানতে হবে। এখন আমরা জানবো সিয়াম/ রোজা মাক্রুহ হলে আমাদের করনীয় কি।

রোজা মাক্রুহ হলে আমরা ইবাদাতের পরিপূর্ণ সওয়াব পাবো না।সুতরাং রোজা যেন মাক্রুহ না হয় আমাদের সেদিক খেয়াল করতে হবে। মাক্রুহ হলে আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আর বেশি বেশি আল্লাহ্‌র ইবাদত করতে হবে। যে কারণে মাক্রুহ হয়েছে আল্লাহ্‌র নিকট তওবা করে ফিরে আস্তে হবে । উপরে আমরা সিয়াম মাক্রুহ হওয়ার কারণ জেনেছি উক্ত কাজ গুলো থেকে আমরা বিরত থাকব। আল্লাহের নিকট দোয়া করবো উক্ত ভুলগুলো আর না করার।

লেখকের মন্তব্য

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য। তার ইবাদতের মধ্যে অনেকগুলো আমাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে। নামাজ হচ্ছে প্রধান ফরজ ইবাদত আর সিয়াম হচ্ছে দ্বিতীয়। সুতরাং আমাদের সিয়াম সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। সিয়াম ভঙ্গের কারণ  মাসআলা সম্পর্কে জানতে হবে।
উপরিক্ত তথ্য থেকে যদি আপনি বিন্দুমাত্র উপকৃত হন তাহলে আমরা ধন্য হব। দয়া করে সাথেই থাকবেন । নতুন বিষয়ে জানার থাকলে কমেন্ট করুন আর পোস্টটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url