​ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায় জানুন

মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান। কেননা সুস্থ দেহ সুন্দর মন। দেহ বলতে আমরা আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বুঝায়। মন ভালো রাখতে হলে আমাদের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুন্দর ,সুস্থ সবল রাখতে হবে। সবগুলো অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে দাঁত অন্যতম। আমরা অনেকেই আছি যারা দাঁত নিয়ে চিন্তিত। দাঁত সুন্দর সাদা ঝকঝকে করতে চাই। আজকের পোস্টে আমরা ​ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা রাখার উপায় সম্পর্কে জানবো। দাঁত সুন্দর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়ুন।
দাঁত আমাদের অমূল্যবান সম্পদ। আমরা যেকোনো খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে দাঁতের প্রয়োজন পড়বে। কথায় আছে যে, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুজতে শিখতে হবে। দাঁতের সুরক্ষাই আমাদের অনেক ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

ভূমিকা

আমাদের দেহের সবচাইতে শক্ত অঙ্গ হল দাঁত। আমরা যেকোনো শক্ত খাবার দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খাই। দাঁত খাবারের স্বাদ বের করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। সুন্দর ঝকঝকে দাঁত পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সুন্দর দাঁত সুন্দর হাসির কারণ হয়। আপনার দাঁতগুলো যদি সুন্দর না হয় তাহলে আপনি জনসম্মুখে কথা বলতেও দ্বিধাবোধ করবেন। তাই আমাদের দাঁতের যত্ন নিতে হবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায় সম্পর্কে ধারণা নিতে আমাদের পোষ্টটি পড়ুন।

দাঁতের প্রকারভেদ কি কি ?

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মুখে ওপর এবং নিচের চোয়াল মিলে ৩২ টি দাঁত থাকে।কাজের ওপর নির্ভর করে আমরা দাঁতের প্রকারভেদ করে থাকি। বিভিন্ন দাঁতের কাজ ভিন্ন ভিন্ন হয়। কাজের ওপর ভিত্তি করে দাঁতকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়। যেমনঃ

কর্তন দাঁতঃ কর্তন মানে কাঁটা অর্থাৎ যে দাঁতগুলো খাবার কাটতে সাহায্য করে তাদের কর্তন দাঁত বলে। আমাদের মুখের সামনের অংশের ওপর নিচ মিলে মত ৮টি কর্তন দাঁত থাকে।

ছেদন দাঁতঃ খাবার কাটার পর ছিঁড়ার পালা ছেদন দাঁত উক্ত কাজ করে। খাবারকে ছিঁড়তে সাহায্য করে ছেদন দাঁত। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মাড়িতে ৪টি ছেদন দাঁত থাকে।

অগ্রপেষণ দাঁতঃ খাবারকে চর্বণ ও পেষণ করার কাজ অগ্রপেষণ দাঁতের। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মাড়িতে ৮টি অগ্রপেষণ দাঁত থাকে।

পেষণ দাঁতঃ পেষণ দাঁতও খাবার পেষণ ও চর্বণ এর কাজ করে। পূর্ণবয়স্ক মানুষের মাড়িতে ৮টি পেষণ দাঁত থাকে।

আক্কেল দাঁতঃ মাড়ির সবচাইতে শেষের দাঁত হচ্ছে আক্কেল দাঁত। আক্কেল দাঁত অনেকের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বের হয় এবং অনেক সময় লাগে। দুই মাড়ি মিলে আমাদের ৪টি আক্কেল দাঁত থাকে।

দাঁতকে সুস্থ রাখার উপায়

দাঁতকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের অনেক কিছু করা লাগবে। কারণ দাঁত আমাদের অমূল্যবান সম্পদ। দাঁত থাকিতে দাঁতের মূল্য দিতে হবে। নিয়মিত খাবার আগে এবং পরে দাঁত ব্রাশ করে পরিষ্কার করতে হবে। মুখ নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। নিচে আমরা কীভাবে দাঁত সুস্থ রাখব সেই সম্পর্কে জানবো।

দাঁত ব্রাশ করাঃ দাঁত সুস্থ রাখার প্রথম কাজ হল দাঁত ব্রাশ করা। দিনে অন্তত ২ বার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। ঘুমানোর পূর্বে দাঁত ব্রাশ করা এবং ঘুম থেকে উঠার পর দাঁত ব্রাশ করা উচিত। যখন আমাদের মুখ বন্ধ থাকে তখন মুখের ভিতরে দাঁতের ফাঁকে থাকা খাবারের কণা পচে যায় এবং দাঁতের এনামেল নষ্ট করে। তাই প্রতিবার খাওয়ার আগে এবং পরে ভালো করে মুখের ভিতরে পরিষ্কার করা প্রয়োজন এতে করে খাবারের কণা বের হয়ে যায়। দাঁত ব্রাশ করার সময় ভালো করে ওপরের চোয়াল এবং নিচের চোয়াল পরিষ্কার করতে হবে।

কোমল পানীয় বর্জন করাঃ দাঁতের ক্ষতি করে এমন খাবার প্রত্যহার করা। তার মধ্যে কোমল পানীয় অন্যতম। কোমল পানীয় বলতে কোকোকোলা, ফ্যানটা, ইত্যাদি । এগুলো সাধারণত চিনি ও সোডা দিয়ে তৈরি। সোডায় ফসফরিক অ্যাসিড থাকে। উক্ত অ্যাসিড আমাদের দাঁতে থাকা এনামেল কে আক্রমণ করে দাঁতের ক্ষতি করে। তাই দাঁত সুস্থ রাখতে আমাদের কোমল পানীয় প্রত্যহার করতে হবে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা রাখার উপায় জানতে হবে।

অ্যালকোহলমুক্ত মাউতওআশঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আমরা অনেকই মাউতওআশ ব্যবহার করে থাকি। উক্ত মাউতওআশ যদি অধিক অ্যালকোহলযুক্ত হয় তাহলে উক্ত মাউতওআশ আমাদের দাঁতের সিমেন্ট ও এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এমনকি কিছু কিছু অ্যালকোহলযুক্ত মাউতওআশ আমাদের মুখের ভিতরে ত্বকের ক্ষতি করে । এগুলো ব্যবহারের ফলে আমাদের ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগ হতে পারে। দাঁতের এবং ত্বকের সুস্থতাই আমাদের দেখেশুনে মাউতওআশ ব্যবহার করা উচিত।

চা খাওয়াঃ প্রতিদিন এককাপ চা খেলে মুখের ভিতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়াঃ  দাঁতের সুস্থতায় খাবারের কোন বিকল্প নাই। আমাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। অনেক শাকসবজি খেতে হবে কারণ শাকসবজিতে অনেক ক্যালসিয়াম, ভিটামিন থাকে যা আমাদের দাঁতকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সাহায্য করে , হাড়কে মজবুত করে। কিছু কিছু ফল আছে যেগুলো দাঁত সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় যেমন আপেল, পেয়ারা, গাজর,সসা এবং কমলা। এই ফলগুলো চিবিয়ে খেলে দাঁত অনেক ভালো থাকে।

নিয়মিত দাঁত ওয়াশ করাঃ দন্ত চিকিৎসকের কাছে মাসে অন্তত একবার যেতে হবে দাঁত পরীক্ষা করার জন্য তারা আপনার দাঁত পরীক্ষা করে আপনাকে পরামর্শ দিতে পারে। আবার তারা আপনার দাঁত ওয়াস করে দিবে এতে আপনার দাঁত ঝকঝকে হতে পারে এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হবে। দাঁতের সুরক্ষায় আমাদের উচিত ঘরোয়া কিছু কাজ করার। কেননা ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা রাখার উপায় জানা প্রয়োজন।

বদঅভ্যাস ত্যাগ করাঃ দাঁতের সুস্থতায় কিছু কিছু বদঅভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন। তামাকজাত দ্রব্য ,সিগারেট ,জর্দা, পান ইত্যাদি খাবার দাঁতের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এগুলো পরিহার করা প্রয়োজন।

অধিক ঠান্ডা ও গরম খাবার পরিহারঃ অধিক গরম খাবার খেলে দাঁতের এনামেল ও সিমেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। আর ঠান্ডা খাবার যেমন আইসক্রিম খাওয়ার কারণে দাঁতে শিরশিরানি রোগ হতে পারে এবং দাঁতে পানি ধরতে পারে। তাই দাঁত সুস্থ সবল রাখতে আমাদের বেশি গরম ও ঠান্ডা খাবার পরিহার করতে হবে।

সর্তকতা অবলম্বন করাঃ সুস্থ সবল দাঁত রাখতে হলে আমাদের একটু সর্তক হতে হবে। যে খাবারে বেশি আশ আছে ঐ খাবার খেলে আশ আমাদের দাঁতের ফাঁকে ঢুকতে পারে এবং মাড়ির গোড়ার ক্ষতিসাধন করতে পারে। আবার অধিক শক্ত খাবার দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। শক্ত খাবার খাওয়ার সময় দাঁত আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে এবং দাঁত চোটে যেতে পারে।

দাঁত সুস্থ সবল রাখতে হলে আমাদের একটু উপরিউক্ত কাজগুলো মেনে চলতে হবে। দাঁত সুস্থ সবল রাখতে হলে আমাদের ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করাসহ দাঁতের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে।

দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তার মধ্যে দাঁতের সমস্যা অন্যতম। বেশির ভাগ মানুষের দাঁতের সমস্যা রয়েছে। এর প্রধান কারণ হল আমরা দাঁতের পরিচর্যা সম্পর্কে জানিনা । দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায় কিছু পদ্ধতি আছে । আমরা এখন সেই সম্পর্কে জানবো।

তেলের ব্যবহারঃ অয়েল পুলিং হচ্ছে প্রাচীন প্রাকৃতিক আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির একটি। এই পদ্ধতিতে মুখের ভিতরে তেল নিয়ে কিছুক্ষন কুল্কুচি করা হয় যেমনটা আমরা মাউতওয়াশ দিয়ে করে থাকি। এই পদ্ধতিতে নারিকেল তেল, জলপাইয়ের তেল বেশি ব্যবহার করা হয়। এক চামচ তেল মুখের ভিতরে নিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে তারপর ফেলে দিতে হয় । এতে করে আপানার মুখের ভিতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস হয়ে যায়। এতে আপনার দাঁত ভালো থাকবে পাশাপাশি আপনার মাড়ির অনেক রোগ উপশম হবে। 

দাঁত ব্রাশ করাঃ নিয়মিত দিন ও রাত মিলে কমপক্ষে ২ বার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। কিন্তু আমাদের উচিত খাওয়ার আগে এবং পরে একবার করে দাঁত ব্রাশ করা। খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা খাবার কণাগুলো বের হয়ে আসে যার জন্য ব্যাকটেরিয়া আর আক্রমণ করতে পারে না এবং দাঁত সুরক্ষিত থাকে।

ফলমূল (আপেল,আনারস) খাওয়াঃ কিছু কিছু ফল আছে যেগুলোতে অ্যাসিটিক অ্যাসিড ( ম্যালিক অ্যাসিড) থাকে। ফলগুলো খাওয়ার পর এইগুলো দাঁতে থাকা অ্যাসিড দূর করে দাঁতকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করে।

হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের ব্যবহারঃ যেকোনো কিছু চকচকে সাদা করার জন্য হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের ব্যবহার করা হয়। অনেকে দাঁত সাদা করার জন্য হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ব্যবহার করে থাকে। বাজারের অনেক টুথপেস্টের মধ্যে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ব্যবহার করা হয় যার কারণে দাঁত সাদা পরিষ্কার হয়। কিন্তু এর অধিক ব্যবহার আমাদের মাড়ির ক্ষয় করতে পারে তাই আমাদের সরাসরি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ব্যবহার করা উচিত নয়।

ভিনেগার ব্যবহার করাঃ অনেক ভিনেগার আছে যেগুলো ব্যবহারের ফলে মুখের ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। ভিনেগার দিয়ে নিয়মিত কুল্কুচি করলে কয়েকদিনের মধ্যে দাঁত চকচকে সাদা হয়ে যাবে। এগুলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার উপায়।

হলুদের ব্যবহারঃ দাঁত সাদা করতে এবং মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে হলুদের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে,যা আমাদের মাড়ির জন্য খুবই উপকারী। হলুদের গুঁড়া দিয়ে দাঁত ঘষলে দাঁত পরিষ্কার হয় তাছাড়া ব্রাশ দিয়ে হলুদের গুঁড়ার পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করলে অল্প সময়ে দাঁত পরিষ্কার হয়ে যায়।

দাঁতের হলদেভাব থেকে বাঁচার উপায়

অযত্ন , অবহেলা, ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, কফি ও চা পান করা, মসলাজাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে অথবা পান খাওয়ার কারণে দাঁতে হলদে দাগ হয়েছে। আসুন জেনে নিই কীভাবে উক্ত দাগ দূর করতে পারবেন।

  • লবণ দিয়ে দাঁত ঘষা দিলে দাঁতের হলদেভাব দূর হয়।
  • লেবুর খসা দিয়ে ঘষুন কারণ লেবুর খোসাই অ্যাসিটিক এসিড থাকে যা আপনার দাঁত পরিষ্কার করবে।
  • ব্রেকিং সোডার ব্যবহার কর।
  • সুপারির খোসা দিয়ে দাঁতে ঘষা দিলেও হলদেভাব দূর হয়।
  • নারিকেল তেলের সাথে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ঘষলে দাঁত সাদা হয়.
  • কলার খোসা দিয়ে ঘষাঘষি করলেও দাঁতের হলদেভাব দূর হয়।
  • তুলসি পাতার গুঁড়া পেস্টের সাথে মিশিয়ে ব্রাশ করলেও হলদেভাব দূর হয়।
  • সরিষার তেল ও নুন একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে হলদেভাব দূর হয়।
উপরিক্ত ​ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করার যায়।

শেষকথা

যেহেতু দাঁত আমাদের অমূল্যবান একটি সম্পদ সুতরাং আমাদের নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিতে হবে। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে এবং দাঁত সুস্থ সবল রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। আমাদের জানতে হবে যে কীভাবে ​ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁত সাদা করা যায়।

সর্বশেষ উপরিক্ত তথ্য থেকে যদি একটুও উপকৃত হন তাহলে পেজটিকে ফলো করবেন এবং বন্ধুদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করবেন। কোন বিষয়ে জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url