ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় কি বিস্তারিত জানতে পড়ুন



ফিটনেস বলতে আমরা শারীরিক সক্ষমতাকে বুঝি।এটি হল ভালো এবং সুস্থ সবল থাকার একটি অবস্থা। আরও ভালো করে বলতে গেলে যে নিজের কাজ, খেলাধুলা, পেশা ও দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষমতাকে বলে ফিটনেস। একটি নিদিষ্ট বয়স পর আমাদের ফিটনেস নষ্ট হয়ে যায়। ফিটনেস কেমন হবে তা নির্ভর করে নিয়মিত খাবার গ্রহণ, শারীরিক ব্যায়াম ইত্যাদি বিষয়ের ওপর। আজকের পোস্টে আমরা ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জানবো।
আপনি যদি আপনার ফিটনেস বয়স বাড়ার সাথে সাথে ধরে রাখতে চান তাহলে আমাদের পোষ্টটি পড়ুন। কি কি করলে শরীর ফিট থাকবে সে বিষয়ে আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

ভূমিকা

আমরা জানি শারীরিক ফিটনেস আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্লান্তিহীন জীবনযাপন করার জন্য আমাদের ফিটনেস ভালো রাখতে হবে। ফিজিক্যাল ফিটনেস বলতে আমরা যা বুঝি তা হল দৈনন্দিন কাজ ও অবসরের কাজকর্ম দক্ষ ও কার্যকর ভাবে শেষ করা, জড়তা কাটানো, অলসতা কাটানো, যেকোনো কাজের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করা, অনীহা দূর করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। দীর্ঘদিন সচল ও কর্মক্ষম থাকার জন্য ফিটনেস অতীব জরুরি। তাই আমাদের ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় কি সে সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয়

নিজের ফিটনেস ভালো রাখতে চাইনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। দৈনন্দিন ব্যস্ততম জীবনে ফিটনেসের দিকে মনোযোগী হয়ে সত্যিই আকাশ কুসুম কল্পনা করার মত। সাধারণত আমরা যারা শহরে বিভিন্ন কাজের জন্য থাকি তাদের জন্য ফিটনেস ঠিক রাখা কষ্টকর। অন্যদিকে গ্রামের মানুষ যারা কাজের মধ্যে থাকে তাদের অন্তত ফিটনেস নিয়ে চিন্তা করা লাগে না। 

কেননা তারা অনেক শারীরিক কর্ম ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন পার করে। ফিটনেস ভালো রাখের যে বিষয়টা এটার অনেকটাই আপনার খাবার, ব্যায়াম ,ঘুম ইত্যদি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া, হাড়ক্ষয়, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, এগুলো রোধ করতে হলে আমাদের ফিটনেস অতীব জরুরি। ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় গুলো নিচে দেওয়া হলঃ

ব্যায়াম করাঃ শরীর ফিট রাখতে আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম করা। দিনে অন্তত এক থেকে দুইবার ব্যায়াম করুন। যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি তারা প্রতিদিন হালকা থেকে মাঝারি গতিতে দৌড়ান। কারণ দৌড় এমন একটি ব্যায়াম যেটা আপনার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। আপনার হাত এবং পায়ের পেশি শক্ত ও মজবুত করবে।

তাছাড়া দৌড় বা জগিং এর মাধ্যমে আপনার হার্ট ভালো থাকে। হার্টের পাম্পিং শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন পার্কে, রাস্তায় হাঁটুন বা জগিং করুন। পার্কে বা রাস্তায় না যেতে পারলে বাড়ির ছাদ বা ঘরে ট্রেডমিলে জগিং করুন। জগিং ছাড়াও আপনি চাইলে সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি ব্যায়াম করতে পারেন।

সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহনঃ খাদ্যঅভ্যাস হচ্ছে ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। খাবারের রুটিন তৈরি করতে হবে এবং রুটিন অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খাবারের তালিকায় সব ধরণের পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ খাবার যোগ করতে হবে। প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, ছোলা, দুধ, ছানা, চিকেন, রাজমা ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খেলে শরীর ফিট থাকে। 

উক্ত খাবার আবার বেশি বেশি খেয়ে ঘুমালে শরীরের ফিটনেস নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আমাদের শরীরচর্চা করতে হবে। একবারে বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া উচিত নয়। অল্প অল্প করে বার বার খাওয়া ভালো একবারে পেট ভর্তি করে না খাওয়ার উচিত। নবি করীম (সাঃ) বলেছেন, পেটের তিন ভাগ করে একভাগ খাবার একভাগ পানি আর বাকি একভাগ ফাঁকা রাখতে হয়। সুতরাং শরীর ফিট রাখতে আমরা উক্ত পন্তায় খাবার খেতে পারি।

ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়াঃ ফলমূল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে হলে আমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় সবজি রাখা উচিত। শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় কাজগুলোর মধ্যে এটি একটি। প্রতিদিন অন্তত একটি করে যেকোনো ফলমূল খেতে হবে। নিয়মিত ফল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর ফিট থাকে।

পর্যাপ্ত পানি পানঃ বলা হয় পানির ওপর নাম জীবন। পানি আমাদের শরীরের জন্য এত জরুরি যার কারণে পানিকে জীবন বলে ডাকা হয়। শরীরের প্রতিটি কাজ সম্পাদন করার জন্য পানি জরুরি। খাদ্য গ্রহণ থেকে শুরু করে পরিপাক করতে পানি প্রয়োজন। পানি আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। শরীর থেকে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান দেই।

ব্যায়াম করা অথবা অন্যান্য কারণে আমাদের শরীর থেকে ঘাম ঝরে উক্ত ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে ময়লা, রোগ জীবাণু বের হয়ে যায়। আবার পানি প্রসাবের মাধ্যমে শরীর থেকে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিন, ইউরিক এসিড ইত্যাদি ক্ষতিকর জীবাণু বের করে দেয়। তাই শরীর ফিট রাখতে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

মোটিভেশনঃ নিজেকে সব সময় মোটিভেট করতে হবে। যেকোনো কাজে নিজেকে মোটিভেট করলে আপনার সেই কাজের প্রতি আগ্রহটা দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং কাজটি শেষ না করা পর্যন্ত আপনি থামতে চাইবেন না। দরকার হলে নিয়মিত মোটিভেশনাল বক্তব্য শুনতে পারেন এতে আপনার কাজের প্রতি ফোকাস বাড়বে এবং দায়িত্ববোধ বাড়বে। মোটিভেট এমন হতে পারে যে কোন গান শোনো, প্রিয় মানুষের কথা চিন্তা করে, প্রিয় জিনিস,শখ, প্রিয় ব্যাক্তি ইত্যাদি বিষয়ের ওপর।

শরীরর সঠিক ওজন বজায় রাখুনঃ ফিটনেস বলতে আমরা শুধুমাত্র কাজের প্রতি ফোকাস, ইচ্ছে, ক্লান্তিহীন কাজ এগুলোকে বোঝায় না শরীরর সঠিক ওজনকেও বোঝায়। শারিরীক সুস্থতা নিশ্চিত করতে চাইলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিয়মিত বিএমই টেস্ট করতে হবে। বিএমই হচ্ছে আপনার উচ্চতা এবং ওজোনের একটি আনুপাতিক মান। 

ওজোন ঠিক রাখতে খাবারের প্রতি ফোকাস রাখতে হবে। যে খাবার গুলো ওজন বৃদ্ধি করে সেগুলো পরিহার করতে হবে। সুস্থ থাকতে ও ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে ধারণা রাখতে হবে।

ঘুমানোঃ শরীর ফিট রাখতে হলে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। যদিও বেশি ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে হবে এবং খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে ব্যায়াম করতে যেতে হবে। সকালের ফ্রেস বাতাস আপনার শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

লক্ষ্য তৈরি করাঃ আপনি একটি ফিটনেসযুক্ত শরীর তৈরি করতে চান এটা আপনার লক্ষ্য থাকতে হবে। যা কিছুই হোক না কেনো নিজের লক্ষ্যে অটুট থাকতে হবে। লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থামা যাবেনা। প্রতিটি কাজেই আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।

ধুমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করাঃ মাদক আমাদের শরীরকে বিনষ্ট করে দেয়। মাদকে না বলুন। শরীর ফিট রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই মাদকদ্রব্য পরিহার করতে হবে। মাদক আমাদের দেশের যুবসমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়।

ডাক্তারের পরামর্শঃ ফিটনেস বজায় রাখতে নিয়মিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ্য টেস্ট করান।

কি খেলে শরীর ফিট থাকে?

ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় কি এবং কি কি খাবার খেলে শরীর ফিট থাকে এই ধরণের প্রশ্ন আমাদের সবার মনে নাড়া দেয়। শরীর ফিট রাখতে ব্যায়ামের পাশাপাশি আমাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যে খাবারগুলো খেলে আমাদের শরীর মোটা হবেনা ফিট থাকবে সেগুলোকে আমরা স্বাস্থ্যকর খাবার বলে থাকি। 

স্বাস্থ্যকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শাকসবজি ফলমূল। সবুজ সবজিতে অনেক ভিটামিন বিদ্যমান যা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।খাবারের তালিকায় আমাদের সবজি রাখতে হবে। সুস্থ থাকতে হলর দিনে কমপক্ষে একটি করে ফল খাওয়া উচিত। ফলমূলের মধ্যে আপেল, পেয়ারা, আম, কমলা, ইত্যাদি খেতে পারেন। 

আবার ফিটনেস ধরে রাখতে আমরা খেজুর,মধু,চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, কাঁচা ছোলা, কিসমিস ইত্যাদি শুকনা খাবার রাখতে পারেন। এগুলো আমাদের শরীরের রক্ত উৎপাদন, সঞ্চালন করে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। আমরা জানি প্রোটিন আমাদের দেহ গঠন করে তাই সুস্থ সবল ফিটনেস ধরে রাখতে খাদ্য তালিকায় মাছ,মাংস, দুধ,ডিম,ডাল, ছোলা ইত্যাদি অধিক প্রোটিনযুক্ত খাদ্য রাখতে হবে।

ছেলেদের শরীর ফিট করার উপায়

অনেক ছেলে আছে যারা তাদের ফিটনেস নিয়ে হতাশায় শেষ। তারা শরীর ফিট করতে চাই কিন্তু কিভাবে শরীর ফিট রাখবে তার কিছুই জানেনা। তাই আমাদের ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় সম্পর্কে আগে জানতে হবে। কোন খাবারগুলো খেলে আমাদের শরীর ফিট থাকে আর কোনগুলো খাবার খেলে শরীর ফিট থাকেনা মোটা হয়ে যায় তা জানতে হবে। 

নিয়মিত কোন ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ সবল ফিট থাকে তা সম্পর্কে আগে জানতে হবে। শরীর ফিট রাখার প্রথম শর্ত হচ্ছে খাদ্যাভাস গড়ে তোলা। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশি কাজে লিপ্ত থাকে তাই তাদের উচিত প্রথমে খাবারের প্রতি ফোকাস করা। এর সঙ্গে সঙ্গে ছেলেদের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। নিয়মিত দৌড়ানো উচিত এতে ছেলেদের পেশী অনেক শক্ত ও মজবুত হবে। 

নিয়মিত জিমে গিয়ে হাত, পা এবং বুকের ব্যায়ামগুলো করা প্রয়োজন। খাদ্য তালিকায় কাঁচা ছোলা, খেজুর, কিসমিস, চিনাবাদাম, কাজু,ওয়ালনাট, তিসির বীজ,আমন্ড ইত্যাদি শুকনা খাবার রাখা উচিত। বাইরের অধিক তেলযুক্ত ফাস্টফুড খাবার পরিহার করা। ধুমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করাসহ অন্যান্য খারাপ বদঅভ্যাস ত্যাগ করা। নিজের কাজের প্রতি মনোবল বাড়ানো এবং নিজেকে মোটিভেট করা। লক্ষ্য স্থির করা এবং নিজেকে নিয়ে ভাবা।

উপরিউক্ত কাজগুলো ছেলেদের শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করবে।

মেয়েদের শরীর ফিট করার উপায়

ছেলেদের মতো মেয়েরাও চাই তাদের শরীর ফিট থাকুক। কেননা মেয়েদের একটা নিদিষ্ট বয়স পর চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যায়। চেহারায় ঔজ্জ্বল্যতা কমে যায়। যার কারণে অনেক মেয়ে তাই যে তাদের চেহারায় যেনো বয়সের ছাপ না পড়ে। তাই মেয়েরা সুন্দরী এবং ভালো ফিটনেসের অধিকারী হওয়ার জন্য নানা রকম উপায় খুঁজে।

তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের সুন্দরী ও ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় কি কি। মেয়েদের ফিটনেস ধরে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। ঘুম ভাল না হলে তার প্রভাব শরীরের ওপর পড়বে। চোখের নিচে কালো দাগ পড়বে। অধিক রাত জাগলে কাজের প্রতি অনীহা বেড়ে যায়। খাবার রুচি কমে যায় এতে করে ফিটনেস নষ্ট হয়ে যায় তাই প্রতিটি মেয়ের উচিত নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে সর্বপ্রথম তার ঘুমের দিকে নজর দিতে হবে। 

ঘুম শরীরে হরমোনে প্রভাব ফেলে, শরীরের চর্বি ক্ষয় করে এবং মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে। রাতে অনেক ঘুমালে দেখতে সুন্দর তরতাজা লাগে। তাই মেয়েদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত। ঘুমানোর পাশাপাশি খাদ্যের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কিছ কিছু পুষ্টিকর খাবার আছে যেগুলো মানুষকে ভেতর থেকে সুন্দর, ফিট করে তোলে যেমন গাজর, মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টিআলু, ব্রকলি ইত্যাদি এই খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। 

তাছাড়া প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন দুধ, ছানা, দই, রাজমা, ছোলা, ইত্যাদি খাবার খেতে পারে। শরীর ফিট রাখতে হলে ব্যায়াম করতে হবে। মেয়েরা ইয়োগা করতে পারে। ব্যায়াম ও ইয়োগা করার মাধ্যমে শরীরে পেশিগুলো নড়াচড়া করে যার কারণে পেশী অনেক শক্ত ও মজবুত হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানির ওপর নাম জীবন। প্রচুর পানি খেলে শরীর জীবাণু ঘাম ও প্রসাবের মাধ্যমে বের হয়ে শরীর জীবাণুমুক্ত হয় এবং শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করে।

শরীর ফিট রাখতে কি কি করতে হবে?

শরীর ফিট রাখতে আমাদের নিম্নোক্ত কাজগুলো মেনে চলতে হবে।

  • পুষ্টিকর খাবার গ্রহন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া।
  • লক্ষ্য স্থির করা।
  • নিজেকে মোটিভেট করা।
  • নিজের কাজকে ভালোবাসা।
  • ধুমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা।
  • নামাজ পড়া।
  • ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা।
শরীর ফিট রাখতে চাইলে উপরিউক্ত কাজগুলো মেনে চলতে হবে। এই কাজগুলো করলে আমরা আমাদের ফিটনেস ধরে রাখতে পারবো। আমাদের সুস্থ সবল থাকার জন্য এবং ফিটনেস ধরে রাখার জন্য অবশ্যই ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় কি কি সেই বিষয়ে আগে জানতে হবে।

শরীর ফিট রাখার ব্যায়াম কি কি?

এখন আমরা জানবো কোন কোন ব্যায়ামগুলো আমাদের ফিটনেস গঠনে ভূমিকা রাখে।
দৌড়ানো বা জগিং
শরীর ফিট রাখার প্রথম ব্যায়াম হলো দৌড়ানো বা জগিং করা। দৌড় এমন একটি ব্যায়াম যেখানে আপনার হাত,পা এবং হার্টবিটের ব্যায়াম হয়ে যায়। দৌড়ানোর সময় আমাদের হাত পা নড়াচড়া করে এতে পেশীতে শক্তি সঞ্চয় হয়। দৌড়ের মাধ্যমে পেশীগুলো শক্ত ও মজবুত হয়। অন্যদিকে হার্টবিট তার কর্মদক্ষতা বাড়ায়। 

দৌড়ানোর সময় শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত চলে এতে বুকের গভীরতা বৃদ্ধি পায়। হার্টবিট দ্রুত চলার কারণে শরীরে প্রতিটি অঙ্গে দ্রুত রক্ত সঞ্চালন হয়। এতে করে হার্টএট্যাকের সম্ভবনা অনেক কমে যায়। তাই শরীর সুস্থ সবল এবং ফিট রাখতে হলে আমাদের রেগুলার দৌড়ানোর অভ্যাস করতে হবে। পার্কে, রাস্তায় না হলে বাসার ছাদে ট্রেডমিলে জগিং করতে পারেন।

ওঠা-বসা
স্কয়াট বা ওঠা-বসা এমন একটি ব্যায়াম যা আমাদের মাংসপেশির উপকার করে। এটি একটি সহজ ব্যায়াম। উক্ত ব্যায়াম করার পাশাপাশি লাফালাফি করতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।

সাঁতার
সাঁতার হচ্ছে আর্দশ ব্যায়াম। সাঁতার কাটলে শরীরের প্রতিটি মাংসপেশিতে টান লাগে। তাছাড়া সাঁতার রক্তচাপ কমানো,শক্তিশালী হৃদপিন্ড এবং ফুসফুসের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

ইয়োগা
উন্নত দেশগুলোর মানুষ উক্ত ব্যায়ামটি বেশি করে থাকে। এটা করলে মন ফ্রেশ থাকে বলে তারা মনে করে। তারা ইয়োগা ক্লাসে ভর্তি হয়ে ইয়োগা করে থাকে তাহলে বোঝায় যাচ্ছে ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় ব্যায়ামগুলোর মধ্যে ইয়োগা অন্যতম।

উপরিক্ত ব্যায়ামগুলো ছাড়াও ছেলোরা লাফ,ঝাপ, ফুটবল,ক্রিকেট ইত্যাদি অনেক ধরণের খেলা আছে যেগুলো ফিটনেস ধরে রাখতে সাহায্য করে সেগুলো খেলতে পারে।

শরীর ফিট রাখার ঔষধ

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা শরীর ফিট করার ঔষধ খুঁজে। শরীর ফিট করার আলাদা কোন ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রাকৃতিক নিয়মে খাদ্যঅভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর ফিট করা প্রয়োজন। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহন, নিয়মিত ব্যায়াম করলেই একজন মানুষ সুস্থ সবল এবং ফিটনেসের অধিকারী হবে। 

বাজারের কোন ঔষধ আছে যেগুলো খেলে আপনি সাময়িক ফিট হতে পারেন কিন্তু এটা পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই শরীর সবল রাখতে ঔষধ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। উপরিক্ত কাজগুলো মেনে চলুন স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করুন এমনিতেই শরীরের ফিটনেস চলে আসবে। আর শরীর ফিট রাখতে আমাদের শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে করণীয় কি কি সেই বিষয়ে আগে জানতে হবে।

শেষ কথা

ফিটনেস ধরে রাখার জন্য আমাদের একটু সচেতন হতে হবে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। আর মনে রাখতে হবে ফিটনেস এর কোন ঔষধ হয়না। যদিও তারা কিছু ঔষধ বিক্রি করে সেগুলো আমাদের শরীরে পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। উক্ত ঔষধ খাওয়ার ফলে আমাদের ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগ হতে পারে তাই আমাদের প্রাকিতিক উপায়ে ফিটনেস করা উচিত। ফিটনেস ধরে রাখতে করনীয় কি সে সম্পর্কে জানতে হবে।

সর্বোপরি পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন। পোস্টটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url