আর্টিকেল লিখার জন্য যে ৬ টি বিষয় জানা অতীবও জরুরি বিস্তারিত জানুন
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আমরা অনেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আছি যারা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে কন্টেন্ট লিখে থাকি। কিন্তু আমরা কন্টেন্ট লিখার সঠিক নিয়মই জানিনা। আর্টিকেল লিখার কিছু বিশেষ নিয়ম আছে যেগুলো আমাদের সকলের অজানা। আর্টিকেল লিখার জন্য দরকারি স্ক্রিনশটস টেকনিকস, গ্রামাটিক্যাল এরর চেক, কপিরাইটিং কি, Plagiarism কি, আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং কি, Buying কিওয়ার্ড র্যাংক ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি এই বিষয় গুলো নিয়ে জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আর্টিকেল লিখার জন্য যে ৬ টি বিষয় জানা অতীবও জরুরি তে সম্পর্কে এখন আলোচনা করবো।
তাহলে চলুন এখন আর্টিকেল লিখার জন্য অতীবও জরুরি ৬ টি বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকা
লেখালেখি অনেকের পেশা আবার অনেকে আর্টিকেলকে তাদের আয়ের একটি উৎস হিসেবে নেয়। কিন্তু কিছু কিছু বিশেষ টিপস আছে যেগুলো জানা থাকলে একটি আর্টিকেল দেখতে সুন্দর পরিমার্জিত লাগবে। তাই একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার পূর্বে আপনাকে উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। আজকের পোস্টে আমাদের আলোচনার বিষয় হল আর্টিকেল লিখার জন্য যে ৬ টি বিষয় জানা অতীবও জরুরি সে সম্পর্কে।
স্ক্রিনশটস টেকনিকস
স্ক্রিনশটস টেকনিকস বলতে পাঠকদের প্রতেক ধাপ বোঝানোর জন্য স্টেপ বায় স্টেপ পিকচার যুক্ত করার বিষয়টা বোঝায়। পাঠক যেন দেখে বুজতে পারে কোন কাজের পর কোন কাজ করা লাগবে তার জন্য আপনি চাইলেই একটি কাজের পর পরবর্তী কাজের একটি স্থিরচিত্র যুক্ত করতে হবে। এতে পাঠক খুব সহজেই বিষয়টা বুজতে পারবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা স্ক্রিনশট নিতে জানে না। এই সমস্যা সমাধানে আমরা এখন স্ক্রিনশটস টেকনিক সম্পর্কে জানবো। মোবাইল এবং কম্পিউটারে স্ক্রিনশটস টেকনিক সম্পকে জানবো এখন। আর্টিকেল লিখার জন্য যে ৬ টি বিষয় জানা অতীবও জরুরি সে সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
মোবাইলের মাধ্যমে স্ক্রিনশট নেওয়ার টেকনিক
- বর্তমান স্মার্টফোনে স্ক্রিনশট নেওয়ার টেকনিক খুবই সোজা। এখন আমরা জানবো কীভাবে মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়।
- অনেক স্মার্টফোনে ভলিউম আপ বাটন ও পাওয়ার বাটন একসাথে চাপ দিয়ে ধরে রাখলে স্ক্রিনশট হয়ে যায়।
- অনেক স্মার্টফোনে ভলিউম আপ বাটন ও ভলিউম ডাউন বাটন একসাথে কিছুক্ষণ ধরে ছেড়ে দিলে স্ক্রিনশট হয়ে যায়।
- কিছু কিছু মোবাইলে হাতের তিন আঙ্গুল দিয়ে ডিসপ্লে তে রেখে নিচের দিকে টান দিলে স্ক্রিনশট হয়ে যায়।
- বিভিন্ন ধরণের আপ্পস অথবা টুলস ব্যাবহার করেও স্ক্রিনশট নিয়া হয়।
কম্পিউটারে স্ক্রিনশট টেকনিক
কম্পিউটারে স্ক্রিনশট টেকনিকও অনেক সোজা। স্টার্ট মেনুতে উইন্ডোজ কর্তৃক Snip & Sketch নামক এক ধরণের টুলস থাকে যার সাহায্যে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়। স্ক্রিনশট নেওয়ার পর মডিফাই অর্থাৎ কাটছাট করার জন্য Adobe Photoshop নামক সফটওয়ার ব্যাবহার করা হয়।
গুগল অনেক সফটওয়ার দিয়ে রেখেছে যার মাধ্যমে সহজেই স্ক্রিনশট নিয়ে আমরা ব্যবহার করতে পারি। এইরকম একটি সফটওয়ার হল লাইটশট। এই সফটওয়ার এর সাহায্যে সহজেই স্ক্রিনশট নিয়ে ব্যবহার করা যায়।
গ্রামারটিক্যাল এরর অর্থাৎ বানান চেক করা
আমরা সাধারণত দুইটা ভাষায় আর্টিকেল লিখি যেমনঃ
- বাংলা
- ইংরেজি
বাংলা বানান শুদ্ধ করার উপায়
বাংলা বানান লেখার জন্য আমরা যে আপ্পস বা সফটওয়্যার ব্যবহার করি তাতে কোন বানান শুদ্ধকরন ডিকশনারী থাকে না বা প্রোগ্রাম থাকে না। যার জন্য বানান ভুল করলাম নাকি সঠিক করলাম বুজতে পারিনা। কিন্তু বানান ঠিক না করলে পাঠক ভুল তথ্য জানবে বা বুজতেই পারবে না তাই আমাদের বাংলা বানান সঠিক করার উপায় জানতে হবে। নিচে দুইটা উপায়ে বাংলা বানান শুদ্ধ করতে পারি।
অভ্র স্পেল চেকার এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ আর্টিকেল সিলেক্ট করে কপি করে অভ্র স্পেল চেকার বাক্সে দিলে উক্ত লিখাই কয়টি বানান ভুল আছে টা আমাদের সামনে চলে আসবে। তখন আমরা সহজেই বানানগুলো টিক করতে পারবো।
ইংরেজি বানান শুদ্ধ করার উপায়
ইংরেজি হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভাষা। তাই ইংরেজিতে লিখাও সহজ এবং বানান ঠিক করার অনেকগুলো উপায় আছে। ইংরেজি লিখতে লিখতে যদি কোন বানান ভুল হয়ে যায় তাহলে উক্ত লিখার নিচে লাল দাগ পড়বে। যার মানে হল উক্ত বানানটি ভুল হয়েছে সঠিক করুন। তখন উক্ত বানানের ওপর ক্লিক করলে ওইটার সঠিক বানানসহ কয়েকটি বানান চলে আসবে। আপনি সঠিক বানানটি নির্বাচন করার সাথে সাথে নিচের যে লাল দাগ ছিল সেটা হারিয়ে যাবে।
গুগুল আমাদের জন্য এমন অনেক সাইট রেখেছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা বাংলা বানান শুদ্ধ করতে পারি। সাইটগুলো হলঃ
- Spell.bangla.gov.bd
- bangla.plus/bangla-speller
- banglabanan.nltr.org/index.html
কপিরাইট ও কপিরাইটিং সম্পর্কে জানুন
কপিরাইট
কপিরাইট এবং কপিরাইটিং দুইটা আলাদা বিষয় কিন্তু অনেক সময় আমরা এই দুইটা গরমিল করে ফেলি। কোনটা দ্বারা কি বোঝাই সেটা সম্পর্কে জানা উচিত আমাদের। কপিরাইট হচ্ছে কোন বাড়ি, জিনিস, লেখা, তৈরি করা, পরিমার্জন করা যদি কোন নিদিষ্ট ব্যাক্তির হয়ে থাকে তাকে কপিরাইট বলে। অর্থাৎ ব্যাক্তিমালিকাধিন যেকোনো বিষয়ই কপিরাইট।
কপিরাইটিং
কপিরাইটিং হল কোন জিনিস বা পণ্য দিয়ে গ্রাহকের মনোযোগ আকর্ষণ করা। সেটা হতে পারে কোন পণ্য অথবা কোন সার্ভিস সেবা। এগুলো কোন ব্যাক্তির অর্থাৎ গ্রাহকের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা এবং তাদের কিনার জন্য মনোযোগ আগ্রহ বাড়ানো এই সকল বিষয়কে কপিরাইটিং বলে। কপিরাইটিং এর ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে নজর রাখতে হবে যেমনঃ
- গ্রাহকের মনোযোগ আকর্ষণ করাতে হবে।
- সার্ভিসটি দেওয়ার জন্য অঙ্গীকার করা।
- সার্ভিসটি সম্মানের সাথে প্রদান করা।
Plagiarism কি ? কি কি হতে পারে ?
Plagiarism হচ্ছে নকল করা। অর্থাৎ অন্যের জিনিস হুবুহু নকল করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া। এটা সাধারণত বিভিন্ন কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা করে থাকে। অন্যের ওয়েবসাইট থেকে তাদের লিখা নকল করে হুবুহু কপি করে নিজের সাইটে পোস্ট করে ব্যবহার করলে উক্ত কাজটি Plagiarism বা তথ্য চুরির অধীনে পড়বে। এই অবস্থায় আপনি একজন চোর বলে গণ্য হবেন।
তথ্য চুরির জন্য উক্ত ব্যাক্তি আপনার নামে অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট নাহলে আপনার ডোমেইন এর নামে গুগলের কাছে নালিশ করতে পারে। শাস্তি হিসেবে আপনার অর্থদণ্ডসহ আপনার ওয়েবসাইটটি নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই Plagiarism থেকে সাবধানে থাকা উচিত।
আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং কি
আর্টিকেল স্পিনিং
অন্যের লিখা হুবুহু কপি না করে ওইখান থেকে ধারণা নিয়ে কিছু কথা সংযোজন বা বিয়োজন করে নতুন রুপ দেওয়াকে আর্টিকেল স্পিনিং বলে। এই ক্ষেত্রে আপনারা অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে ধারণা নিয়ে তথ্য পড়ে নিজের মত করে আবার উপস্থাপন করতে পারেন। কিন্তু কপি করা যাবে না নাহয় এটা Plagiarism এর আওতায় পড়বে।
আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং
AI মানে Artificial intelligent মানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। AI কে আপনি কোন একটি বিষয়ে বলা দিলে সে আপনাকে ঐ বিষয়ে অনেক তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে। এইক্ষেত্রে একটি টুলসকে একটি নিদিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে দিলে AI আপনাকে প্যারাগ্রাপ আকারে অনেক তথ্য দিয়ে দিবে এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং ।
Buying কিওয়ার্ড র্যাংক করে টাকা ইনকাম
কোন পণ্য কেনাবেচা করার কিওয়ার্ডই হল বায়িং কিওয়ার্ড। বায়িং কিওয়ার্ড এর মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা হয়। এগুলো আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পোস্টের মধ্যে ব্যবহার করি। পোস্টের মধ্যে উক্ত প্রোডাক্টের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এবং কিনার জন্য লিংক দিয়ে দেই। যার মাধ্যমে ক্রেতা লীনকে প্রবেশ করে এবং পণ্যটি সম্পর্কে পড়ে। এইভাবে Buying কিওয়ার্ড র্যাংক করে টাকা ইনকাম করা যায়। এইক্ষেত্রে প্রোডাক্ট এর মালিক আপনাকে লিংক দেওয়ার জন্য পেমেন্ট করবে এবং পণ্যটি কিনলে আপনি কিছু পারসেন্ট টাকা পাবেন।
লেখকের মন্তব্য
আজকের পোস্টে আমরা আর্টিকেল লিখার জন্য যে ৬ টি বিষয় জানা অতীবও জরুরি সেটা সম্পর্কে জানলাম। আর্টিকেল লিখার জন্য দরকারি স্ক্রিনশটস টেকনিকস, গ্রামাটিক্যাল এরর চেক, কপিরাইটিং কি, Plagiarism কি, আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং কি, Buying কিওয়ার্ড র্যাংক এগুলো সম্পর্কে জানলাম।
পোস্টটি ভালো লাগলে ফলো দিয়ে পাশেই থাকবেন। বন্ধুদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে তাদের উক্ত বিষয়ে জানার সুযোগ করে দিন।
রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url