আত্ম- উন্নয়নের সেরা ৩৪টি বইয়ের নাম জানুন
বই আমাদের জীবনের একটি সঙ্গী। বই হাসায়, কাঁদায় কিন্তু কখনও একা ফেলে যায়না। বই এমন একটি জিনিস যা আপনার জীবনধারা পরিবর্তন করে দিতে পারে। আজকের পোস্টে আমরা এমন কিছু বইয়ের নাম জানবো যেগুলো আমাদের জীবন পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। আজ আমরা আত্ম- উন্নয়নের সেরা ৩৪টি বইয়ের নাম জানবো।
বই পড়া নিঃসন্দেহে একটি ভালো অভ্যাস। বই পড়ার কোন ক্ষতি নাই বরং প্রচুর লাভ আছে। এমন কিছু কিছু বই আছে যেগুলো পড়ার মধ্যদিয়ে আপনি অনেক আজানা বিষয়ে জানবেন। এই রকম কিছু বইয়ের নাম আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
ভূমিকা
বই আমাদের বন্ধু। শুধু বন্ধু বললে ভুল হবে উপকারী বন্ধু। বই পড়ার কোন খারাপ দিক আজ পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারেনি। বই আপনার চিন্তার ধারা পরিবর্তন করে দিবে। বই আমাদের জ্ঞানকে প্রসারিত করে এবং কঠিন সময়ে সিধান্ত নিতে সাহায্য করে। আমাদের সকলের নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস করা উচিত। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বই পড়ার অভ্যাস দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
এখন সবাই ফেসবুক, ইয়উতুবে,ইমু, মেসেঞ্জার ইত্যাদি নিয়ে বসে থাকে তাই বই পড়ার অভ্যাসটা দিন দিন হারায় যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের সকলের উচিত নিজের ভালোর জন্য প্রযুক্তির মত করে বই পড়ার অভ্যাসটা ধরে রাখা। কিন্তু আপনি কোন ধরণের বই পড়বেন ? আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের আত্ম- উন্নয়নের সেরা ৩৪টি বইয়ের নাম উল্লেখ করবো যেগুলো আপনার জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারবে।
বই পড়ার উপকারিতা কি ?
আসলে বই পড়ার অনেক উপকারিতা আছে যেগুলো বলে শেষ করা যাবেনা। আমরা এখন তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে জানবো।
নতুন জ্ঞান অর্জন
জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক মানুষ আছে যাদের প্রধান শখ হচ্ছে বই পড়া। বই পড়া আপনার জ্ঞানের সাগরকে পরিপূর্ণ করে। বই পড়ে অনেকে নিজ ক্যারিয়ার খুঁজে পেয়েছেন এবং জীবনে বেশ সাফল্যমণ্ডিত করেছেন। নিয়মিত বই পড়লে অজানা বিষয়কে ভালো করে জানা যায়। পৃথিবীতে যত জ্ঞানী গুণী ব্যাক্তি আছে তারা সবাই বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করেছেন। তাই জ্ঞান অর্জনের জন্য আমাদের নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন।
আত্মবিশ্বাস অর্জন
নিয়মিত বই পড়লে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। বই পড়ার মাধ্যমে আপনি নতুন এক সত্তায় রূপান্তরিত হয়ে বিশ্বকে আরও গভীরভাবে জানতে পারবেন। বই আপনাকে নতুন নতুন বিষয় শিখাবে। নিয়মিত আত্ম উন্নয়ন বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে আমাদের তাহলে আত্মবিশ্বাস অর্জন হয়ে যাবে। অনেক অজানা তথ্য আপনি বই পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন।
কাজের প্রস্তুতি নেয়া
বর্তমান সময়ে বই থেকে আপনি সব কাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন যেমন মাংস রান্না করবো কীভাবে, কোন প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করবো ইত্যাদি কাজগুলো করার আগে বই পড়ে ধারণা নিলে উক্ত কাজটি আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।
কল্পনাশক্তি
বই আপনার কল্পনা শক্তিকে দ্বিগুণ করে তুলবে। নতুন নতুন বিষয়ে ভাবতে সাহায্য করবে। বই আপনাকে কল্পনাই বিভোর করে তুলবে তাই আমাদের কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
বোঝার ক্ষমতা
বই পড়ার মাধ্যমে আপনার অনেক কিছু বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আশেপাশের মানুষ এবং অন্য কিছু ভালো করা বুজতে পারবেন। নতুন নতুন বিষয়, মানুষ, প্রাণী এদের ঐতিহ্য ইত্যাদি সম্পর্কে বুজতে পারবেন।
আত্ম- উন্নয়ন কি ?
আত্ম- উন্নয়ন বলতে আমরা নিজের দক্ষতা, নিজের জ্ঞান ও সক্ষমতার উন্নয়নকে বোঝায়। আত্ম- উন্নয়ন আমাদের লক্ষে পৌছাতে সাহায্য করে। নিজের ভালো কাজ কোনটা, নিজেকে কীভাবে নতুন করন করা যায়, নিজের পরিবর্তন কীভাবে করা যায় এগুলো বিষয়কে আত্ম- উন্নয়ন বলে। আত্ম- উন্নয়ন আমাদের আত্ম-কেন্দ্রিক করে তোলে। নিজেকে আত্ম- উন্নয়ন করার জন্য কিছু কিছু বই পড়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন এই বই গুলোকেই আত্ম- উন্নয়নমূলক বই বলা হয়। আজকের পোস্টে আমরা আত্ম- উন্নয়নের সেরা ৩৪টি বইয়ের নাম জানবো।
আত্ম- উন্নয়নমূলক ৩৪টি বইয়ের তালিকা
যে বই গুলো আমাদের নিজেকে পরিবর্তন, পরিমার্জন, বিশুদ্ধ করার জন্য এবং মোটিভেট বা উৎসাহ করার জন্য কাজ করে সেগুলোকে আমরা আত্ম- উন্নয়নমূলক বই বলি। এই রকম ১৮টি বইয়ের নাম হলঃ
- ইকিগাই
- ডোপামিন ডিটক্স
- দ্য আলকেমিষ্ট
- রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড
- অ্যাটমিক হ্যাবিটস
- দ্য মিরাকল মর্নিং
- হাউ সাকসেসফুল পিপল থিংক
- থিংক এন্ড গ্রো রিচ
- নেভার স্টোপ লার্নিংঃ আয়মান সাদিক
- টাইম ম্যানেজমেন্টঃ ব্রায়ান ট্রেসি
- কাইজেনঃ সারাহ হার্ভে
- উইনিংঃ জ্যাক ওয়েলশ
- ইট দ্যাট ফ্রগঃ ব্রায়ান ট্রেসি
- লিডারশীপঃ জন সি ম্যাক্সওয়েল
- দ্য সাইকোলজি অব মানিঃ মর্গান হাওজেল
- মাইন্ড রিডারঃ লিওর সুশার্ড
- দ্য ইনোভেটরস ডিলেমাঃ ক্ল্যাটন ক্রিস্টেনসন
- দ্য এফেক্টিভ এক্সিকিউটিভসঃ পিটার ড্রাকার
- পাওয়ার অফ পজিটিভ থিংকিংঃ নরম্যান ভিনসেন্ট পিয়েল
- রোড টু সাকসেস ঃ নেপলিয়ান হিল
- জিরো টু ওয়ানঃ পিটার থিয়েল ও ব্লেইক মাস্টারস
- দ্য পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিংঃ নরম্যান ভিনসেন্ট পিল
- হাউ টু টক টু এনি ওয়ানঃ লেইল লোনডেস
- ১০০ ওয়েজ টু মোটিভেট ইওরসেলফ্স্টিঃস্টিভ চ্যান্ডলার
- বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনঃ ওয়াল্টার ইসাকসন
- তুমিও জিতবেঃ শিব খেরা
- দুঃচিন্তাহীন নতুন জীবনঃ ডেল কর্নেগী
- কনশাস ক্যাপিটালিজমঃ জন ম্যাকি ও রাজ সিসোদিয়া
- অ্যাজ আ মেন থিংকেথঃ জেমস অ্যালেন
- ম্যাক দি মোস্ট অব ইওর মাইন্ডঃ টনি বুজান
- উচ্চাকাঙ্ক্ষার ম্যাজিকঃ ডেভিট জে শ্বার্টজ
- নিজেকে জানোঃ বিদ্যুত মিত্র
- দ্য লো অফ সাক্সেজঃ নেপোলিয়ন হিল
- দ্য পাওয়ার অব ইওর সাবকশাস মাইন্ডঃ ডঃ জোসেফ মারফি
- দ্য মিরাকল অফ ইওর মাইন্ডঃ ডঃ জোসেফ মারফ
উপরিক্ত সবগুলো বইই আত্ম- উন্নয়নমূলক বই। বই গুলো আপনার জ্ঞান, দক্ষতা, চিন্তাধারা সবগুলো বিষয় পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। যদি সুযোগ হয় তাহলে বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন। ব্রায়ান ট্রেসি কে বলা হয় বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম সেরা লেখক। যার লেখা ঘুমন্ত মানুষ কে জাগিয়ে তুলে। অলস মানুষ কে কর্মমুখী করে তুলে। তাই আমাদের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত। আজকের পোস্টে আমরা আত্ম- উন্নয়নের সেরা ৩৪টি বইয়ের নাম।
আত্ম- উন্নয়নমূলক ইসলামিক বই
ইসলামিক উন্নয়নমূলক কয়েকটি বই এর নাম হলঃ
- বেলা ফুরাবার আগেঃ আরিফ আজাদ
- মোটিভেশনাল মোমেন্টসঃ আমির আব্দুল্লাহ
- মোটিভেশনাল মোমেন্টস ২ঃ মুফতি ইসমাইল মেনকস
- প্রোডাক্টটিভ মুসলিমঃ মোহাম্মাদ ফারিস
- টাইম ম্যানেজমেন্টঃ আবু মুয়াবিয়া ইসমাইল কামদার
উক্ত ৫টি বই আপনার ইসলামিক চিন্তাধারার পরিবর্তন করবে। আজ আমরা আত্ম- উন্নয়নের সেরা ৩৪টি বইয়ের নাম জানলাম।
শেষকথা
সবমিলিয়ে বলা যার, আত্ম- উন্নয়নের জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নাই। আত্ম- উন্নয়নমূলক বই নির্বাচন করে আমাদের পড়া উচিত। বই পড়লে কোন ক্ষতি নাই বরং অনেক উপকার আছে। তাই নিওমিত বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে আত্ম- উন্নয়নের সেরা ৩৪টি বইয়ের নাম জেনেছি। উক্ত বইগুলো আমাদের সবার পড়া উচিত।
পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আমাদের পেজটি ফলো করবেন এবং বন্ধুদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে পাশেই থাকবেন। কোন বিষয়ে জানার থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url