মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ - স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের পোষ্টের আলোচনার বিষয় হচ্ছে মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ এবং স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হাওয়ার উপায়। আপনি যদি খুবই অল্প সময়ে নিজেকে ফর্সা ও সুন্দর করে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। তাই দেরি না করে সম্পন্ন পোস্টে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করুন এবং ফর্সা হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস সংগ্রহ করুন।
মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ - স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়


আজকের পোস্টের আমাদের আলোচনার বিষয় মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ এবং স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়  সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা।

ভূমিকা

কালো মানুষ সকলের অবহেলার পাত্র এবং পাত্রী হয়ে থাকে। এমনকি বর্তমান সময়ে কালো মানুষকে কেউ মূল্য দিতে চায় না। স্কুল কলেজ অফিস আদালত বাড়ি এমনকি খেলার মাঠেও কালো মানুষকে অবহেলা এবং হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়। পাত্রপক্ষ যখন পাত্রীপক্ষকে দেখতে আসে তখন শুধুমাত্র গায়ের রং কালো হওয়ার কারণে অনেক বিয়ে ভেঙ্গে যায়। তাই অনেকেই ফর্সা হওয়ার জন্য নানারকম চেষ্টা করে থাকি। 

আমাদের আজকের পোস্টটি তাদের জন্য যারা খুব অল্প সময়ে মাত্র তিন দিনে ফর্সা হতে চাই। আজকের পোস্টে আমরা আপনাদেরকে জানাবো মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জসম্পর্কে এবং স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় । তাই এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং উপকৃত হতে সম্পূর্ণ পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম

আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা নাইট ক্রিম বা রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকে এগুলোকে নাইট ক্রিম বলা হয়। নাইট ক্রিম স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা আমরা যখন রাতে বিছানায় শুতে যাই তখন আমাদের কোষগুলো কাজ শুরু করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পর আমরা যখন বিশ্রাম নেই তখন আমাদের শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকগুলো কোষ তত্ত্বাবধান শুরু হয়। 

রাতের বিশ্রামের সময়টুকু হচ্ছে ত্বককে বিশ্রাম দেওয়ার সময়। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকগুলো মেরামত হয় এবং নতুন করে তরতাজা হয়ে ওঠে। তাই ত্বকের পরিচর্যার জন্য রাতি বেস্ট সময় বলে অনেকে মনে করে তাই ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে ভালো নাইট ক্রিম ব্যবহার করে। একটি ভালো নাইট ক্রিম ত্বকের হারিয়ে ফেলা আদ্রতা ফিরিয়ে আনে এবং কোলোজেনের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

রাতে ভালো মানের নাইট ক্রিম ব্যবহার করলে পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার ত্বকগুলো ঝলমলে ও উজ্জ্বল দেখায় তাই বাজার থেকে অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের নাইট ক্রিম নির্বাচন করতে হবে। নিচে আমরা ভালো মানের কিছু সেরা নাইট ক্রিমের নাম তুলে ধরলাম যেগুলো আপনাদের স্থায়ীভাবে থেকে ফর্সা করে তুলবে।
  • হিমালয় রিভিটালিজিং নাইট ক্রিম
  • পন্ডস গোল্ড রেডিয়ান্স ইয়ুথফুল নাইট ক্রিম।
  • পন্ডস এজ মিরাকল রিঙ্কল কারেক্টর নাইট ক্রিম।
  • ওলে ন্যাচারাল হোয়াইট অল ইন ওয়ান ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম।
  • ডার্মালজিকা ওভারনাইট ক্লিয়ারিং জেল।
  • ল’রিয়াল প্যারিস হোয়াইট পারফেক্ট নাইট ক্রিম
  • ল্যাকমে ইয়ুথ ইনফিনিটি স্কিন স্কাল্পটিং নাইট ক্রিম।
  • লোটাস হারবাল নিউট্রানাইট নাইট ক্রিম
  • ল্যাকমে অ্যাবসোলিউট পারফেক্ট রেডিয়ান্স স্কিন লাইটেনিং নাইট ক্রিম।
উপরিক্ত তথ্য থেকে আমরা ইতিমধ্যে ভালো মানের কিছু সেরা নাইট ক্রিম সম্পর্কে জেনে গেছি যেগুলো আমাদের ত্বকে স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা করবে। এখন আমরা জানলাম স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম সম্পর্কে। আজকের পোষ্টের আমাদের মূল বিষয় মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ এবং স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় ।

এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

রূপচর্চার জন্য এলোভেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমরা আমাদের রূপচর্চার জন্য যতগুলো জিনিস ব্যবহার করে থাকি সেগুলো প্রতিটি জিনিস তৈরি হয় এলোভেরা দিয়ে। স্কিনের হাইড্রেশন লেভেল ঠিক রাখার জন্য, স্কিনের গ্লো ফিরে আনার জন্য, চুল পড়া রোধ করতে, চুল ঘন করতে ও লম্বা করতে, ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ করতে যে সকল কসমেটিক ব্যবহৃত হয় সেগুলোর প্রধান উপাদান হচ্ছে এলোভেরা। এলোভেরা রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে প্রাচীনকাল থেকেই। 

এলোভেরা দিয়েও যে রূপচর্চা করা যায় এবং এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় অনেকেরই অজানা। এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হতে হলে আপনাকে এলোভেরার সঠিক ব্যবহার পদ্ধতি জানতে হবে। এলোভেরা একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ। এলোভেরা ত্বকের সৌন্দর্যে ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি খাওয়া হয়। এলোভেরা শরবত পেট পরিষ্কার করতে এবং গ্যাস থেকে মুক্তি দিয়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তাই অনেকের রূপচর্চার পাশাপাশি এলোভেরার শরবত খেয়ে থাকে। এলোভেরা রূপচর্চার যেভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তাহল 
  • স্কিনের পিম্পল দূর করতে
  • রোদে পোড়া ভাব দূর করতে
  • স্কিনে বয়সের ছাদ দূর করতে
  • স্কিনকে সজীব ও সতেজ রাখতে
  • ন্যাচারাল মেকআপ রিমুভার হিসেবে
  • ত্বকে ইয়ংগার লুক আনতে
উপরিক্ত তথ্য থেকে আমরা জানলাম এলোভেরা কি কি সমস্যার সমাধান দেয়। কিন্তু আমরা এলোভেরার সঠিক ব্যবহারবিধি জানিনা এখন আমরা এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানবো।

মধু ও এলোভেরা জেল আমাদের ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে এলোভেরা জেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেজন্য এতো মধু ও এলোভেরা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে উক্ত প্যাকটি নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।
লেবু ও এলোভেরা: লেবু এবং এলোভেরা দুইটি আন্টি এইজিইং উপাদান সমৃদ্ধ। এগুলো আমাদের ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে চাই এবং বিভিন্ন রকম দাগ দূর করে। ১ থেকে ২ টেবিল চামচ এলোভেরা এবং এতে আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে প্রতিদিন ত্বকে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে এতে আপনার ত্বক অনেক উজ্জল ও ফর্সা দেখাবে।

হলুদের গুড়া ও এলোভেরা : এই প্যাকটি তৈরি করতে আপনাকে এক টেবিল চামচ এলোভেরা এক চিমটি হলুদের গুঁড়া এবং এক চামচ মধু নিতে হবে। উক্ত প্যাকটি তৈরি করে নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করুন এতে কয়েকদিনের মধ্যে মোলায়েম উজ্জ্বল হবে।

টক দই ও এলোভেরা : ২ চামচ এলোভেরা জেল এর সাথে এক চামচ টক দই নিন। মিশ্রণটি শুষ্ক হলে এক চামচ মধু মিশিয়ে সামান্য লেবুর রস দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। উক্ত প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করুন। একটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক অনেক ফর্সা উজ্জ্বল হবে।

নারিকেল তেল ও এলোভেরা : সামান্য নারিকেল তেলের সাথে এলোভেরা মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করুন এবং ফলাফল নিজ চোখে দেখে নিন।

ওপরে আলোচিত প্যাকগুলো তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করলে মাত্র ৩ থেকে ৪ দিনে আপনি আপনার চেহারার পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন। আজকে পোষ্টের আমাদের জানার বিষয় হচ্ছে মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ এবং স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় ।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে কালো মানুষ বর্তমান সময়ে সমাজের অবহেলিত। তাই ছোট-বড় ছেলে-মেয়ে সবাই কাল থেকে ফর্সা সুদর্শন হতে চাই। উপরে আমরা ফর্সা হওয়ার কয়েকটি উপায় এবং বাড়িতে তৈরি প্যাক সম্পর্কে জেনেছি। খুব অল্প সময়ে কাল থেকে ফর্সা হতে হলে আপনাকে উপরিক্ত ব্যাগগুলোর যেকোনো একটি ব্যবহার করতে হবে। তবে খুব দ্রুত কাল থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় রয়েছে। তার মধ্যে একটি প্রধান উপাদান হল চারকোল বা কার্বনের ব্যবহার। 

রূপচর্চায় চারকোলের ব্যবহার নতুন কিছুই নয়। চারকোল ত্বক, চুল এবং দাতের যত্নেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই ত্বককে কাল থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য চারকোল শেভিং ক্রিম অথবা চারকোল ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। আর উপরিক্ত প্যাকগুলো সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে খুবই দ্রুত কাল থেকে ফর্সা হওয়া যাবে। দ্রুত কাল থেকে ফর্সা হতে হলে দোকান থেকে এক্টিভেটেড চারকোল কিনে আনুন। 

এখান থেকে ২ টেবিল চামচ চিনি এবং এক টেবিল চামচ চারকোল নিয়ে এতে সামান্য জলপাইয়ের তেল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন নিয়মিত পেস্টি আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন এবং পরিবর্তন নিজেই বুঝে নিন। আজকে পোষ্টের আমাদের জানার বিষয় হচ্ছে মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ এবং স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় ।

৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক এখন আমরা জানব ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। অনেকে কথাটিকে অবিশ্বাস্য মনে করবে। তারা ভাববে ৩ দিনে আবার ফর্সা হওয়া যায় নাকি। নিয়মিত রূপচর্চা এবং ত্বকের যত্ন নিলে মাত্র ৩ দিনেই ফর্সা হওয়া যায়। নিচে মাত্র তিন দিনে ফর্সা হওয়ার ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো   
  • নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
  • নিজের থেকে চাপ কমান।
  • নিয়মিত ঘুমান।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • ত্বক পরিষ্কার ও ময়েশ্চারাইজার করুন।
  • একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।
  • ধুমপান ও মাদক এড়িয়ে চলুন।
  • রাতে ঘুমানোর পূর্বে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন।
  • নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন।
উপরোক্ত ১০ টি কাজ নিয়মিত করলে মাত্র ৩ দিনে আপনি আপনার ত্বককে ফর্সা করতে পারবেন। আজকের পর থেকে আমরা জানলাম মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ এবং স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়।

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বাজারে এসেছে যেগুলো তোকে ব্যবহারের ফলে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ত্বক ফর্সা হয়। কিন্তু ২/১ দিন ব্যবহার না করলে অথবা রোদে গেলে ত্বক পূর্বের তুলনায় আরো খারাপ হয়ে যায়। এগুলা আসলে অস্থায়ী ফর্সা হওয়া। স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে হলে আপনাকে নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে। এখন আমরা স্থায়ী ফর্সা হওয়ার দুটি প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে বলবো। 

প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হলে ত্বকের কোন সমস্যা দেখা দিবে না। অন্যদিকে কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ফর্সা হলে ত্বকের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তাই ত্বকের যত্নে স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে হলে অবশ্যই প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে হবে। নিচে প্রাকৃতিকভাবে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার দুটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

কাঁচা হলুদঃ প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় কাঁচা হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি একটি ন্যাচারাল প্রাকৃতিক উপাদান। এই উপাদানের কোন সাইড ইফেক্ট নেই। কাঁচা হলুদ রূপচর্চায় বউ আগে থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কথা হলুদ বিভিন্ন উপাদানের সাথে মিশিয়ে তোকে ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দূর হয়ে যায় এবং স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা সুন্দর হয়। এজন্য কাঁচা হলুদ প্রথমে বেটে নিতে হবে, কাঁচা হলুদ বাটার মধ্যে ৩ চামচ দুধ এবং ১ চামচ লেবুর রস দিতে হবে দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। 

উক্ত প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করুন। প্যাকটি ব্যবহারের সময় অন্তত ১২ ঘন্টা যাবেন না এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ত্বক সুন্দর মোলায়েম হবে।

দুধ ও কাঁচা হলুদঃ উপরে আমরা কাঁচা হলুদ এবং দুধ দিয়ে তৈরি প্যাক ত্বকে ব্যবহারের কথা বলেছি। কিন্তু এখন আমরা বলব কাঁচা হলুদ বাটা এবং এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধ একসাথে মিশিয়ে পান করার কথা। উক্ত দুটি মিশ্রণ প্রতিদিন একসাথে পান করলে ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে আপনার ত্বক কোমল ও ফর্সা হবে।

প্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যেই স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার দুইটি উপায় সম্পর্কে জেনে গেছি। আজকের পোস্টের আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ এবং স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম

ফর্সা হওয়ার জন্য চর্মডাক্তার গুলো যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে বলে থাকে সেগুলো হচ্ছে ডাক্তারি ক্রিম। বিভিন্ন ডাক্তাররা বিভিন্ন রকমের ক্রিম ব্যবহারের নির্দেশনা দেন। এখন আমরা ফর্সা হওয়ার জন্য সেরা কিছু ডাক্তারি ক্রিমের নাম জানবো

  • OSUFI Whitening Body Cream
  • Doctor Whitening Cream
  • Lotus Herbal Night Cream
  • Olay Natural White Beauty All In One Fairness Cream
  • Garnier Skin Naturals Light Complete Serum Cream
  • Lakme Absolute Perfect Radiance Brightening Night Cream

৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

ইতিমধ্যে আমরা ফর্সা হওয়ার জন্য নানা রকম ক্রিম, ফেসপ্যাক, ও ঘরোয়া কিছু প্যাক তৈরি করা সম্পর্কে জেনে গেছি। এখন আমরা ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে জানবো। ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম হল Himalaya Herbal Clear Complexion এই ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের মধ্যে তাৎক্ষণিক Glow চলে আসবে। 

ক্রিমটি যে সকল উপাদান দ্বারা তৈরি হয়েছে সে উপাদান গুলো আপনার ত্বকের ভেতরে ঢুকে ত্বকে উজ্জ্বল ফর্সা। তাই আপনি যদি মাত্র ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম খুঁজেন তাহলে এটি আপনার জন্য বেস্ট। আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানলাম মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে এবং স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় ।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম মেয়েদের

মেয়েরা সাধারণত সব সময় সুন্দরী হতে চাই। যার কারণে তারা রূপচর্চায় বেশি মেতে উঠে। মেয়েরা দিনের বেশি সময় ঘরের মধ্যে থাকে যার কারণে রূপচর্চায় বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। তাই এখন আমরা জন্য ডাক্তারি ক্রিম মেয়েদের জন্য কোনটি বেস্ট হবে সে সম্পর্কে জানবো
  • Olay Natural White
  • Koelcia Collagen Whitening Cream
  • IUNIK Centella Calming Gel Cream
  • Ailke C E Advance Whitening Cream

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের পোস্ট থেকে আমরা জানলাম, মাত্র ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার চ্যালেঞ্জ এবং স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আমরা আরো জেনেছি মেয়েদের জন্য ভালো ডাক্তার ক্রিম, এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, কাল থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়, স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় এবং ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন ডাক্তারের ক্রিম সম্পর্কে। 

ফর্সা হওয়ার জন্য উপরোক্ত ক্রিম এবং ফেসপ্যাক ব্যবহার নিয়মিত করতে হবে নিয়মিত ব্যবহার না করলে আপনি আশানুরূপ ফলাফল পাবেন না। উক্ত ক্রিমগুলো ব্যবহারের ফলে আপনার কাঙ্খিত রেজাল্ট পেতে একটু সময় লাগতে পারে তাই ধৈর্য ধরে দিনগুলো এবং ফেসপ্যাক গুলো ব্যবহার করতে থাকুন তাহলেই স্থায়ীভাবে ফর্সা হয়ে যাবেন।

পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে একটি লাইক দিয়ে ফলো দিয়ে আমাদের পেজের সাথে থাকবেন। আমরা নিয়মিত আমাদের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে থাকি। আপনার কোন পরিচিত বন্ধুবান্ধব অথবা পরিজন যারা ফর্সা হতে চাই তাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url