পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব গর্ভাবস্থার লক্ষণ জেনে নিন

• পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথা হলে গরম সেক দিতে হয়।
• আদা এবং আদার রস খেলে পেটব্যথা অনেকটা কমে যায়।
• পেপের তরকারী অথবা শুধু পেপে খেলে পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটা কমে যায়।
• পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথা হলে ল্যাভেন্ডার ওয়েল ব্যবহার করতে হয় ব্যথা দূর করার জন্য।
• এলোভেরার রস পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
• পিরিয়ডের ব্যথার সময় প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হয়।
• হালকা ব্যায়াম করলে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

• সাদা স্রাব গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে।
• যোনিতে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়।
• যোনিতে জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
• শরীরে অস্বস্তি দেখা দেয়।
• স্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে থাকে।
• যোনিতে সংক্রমন দেখা দেয় এবং সেই সঙ্গে প্রদাহ দেখা দেয়।

• গোপনাঙ্গ সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
• সুতির কাপড় এবং সবসময় ঢিলা কাপড় পরিধান করা।
• পানি দিয়ে যৌনাঙ্গের ভিতরে ধোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
• প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে।
• সাদা স্রাবের সমস্যা দেখা দিলে সেক্ষেত্রে দই খেলে উপকার পাওয়া যায়।

• যদি পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব দেখা দেয় তবে তা অনেক সময় গর্ভাবস্থার লক্ষন হিসেবে ধরা হয়। এই সময় স্রাবের গন্ধ হয়ে থাকে এবং স্রাবের রং হয়ে থাকে গোলাপী রঙের। যদি গোলাপি রঙের স্রাব দেখা দেয় তবে বুঝতে হবে জরায়ুতে স্পটিং চলছে এবং এটি গর্ভধারণের প্রথম লক্ষন হিসেবে ধরা হয়।
• পিরিয়ডের কতদিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয়
• পূর্বে আমরা পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব গর্ভাবস্থার লক্ষণ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো পিরিয়ড শেষ হবার কতদিন পর সহবাস করলে একজন মেয়ের গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা সম্পর্কে।
• পিরিয়ড শেষ হবার পর থেকে প্রথম ১০-১৫ দিনকে গর্ভধারণের জন্য আদর্শ বলে ধরা হয়। এই সময়ে মেয়েদের শরীর অত্যন্ত উর্বর থাকে বলে বিবেচনা করা হয় এবং গর্ভধারণ খুব সহজ হয়ে যায়।

পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ

• পিরিয়ডের আগে একজন মেয়ের মুখে পিম্পল বের হয়ে থাকে।
• স্তন ভারী হয়ে যায় এবং অনেক বেশি ব্যথা করে।
• পিরিয়ডের আগে একজন মেয়ের মেজাজের পরিবর্তন হয়ে থাকে।
• একজন মেয়ের পিরিয়ডের পূর্বে ক্ষুধার মাত্রা বেড়ে যায়।
• শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়।
• পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়।
• বমি বমি ভাব দেখা দেয়।
• পেট ফুলে যায়।
• কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা শুরু হয়।
• অনেকসময় ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।

• পিরিয়ডে মিস হয়ে যায়।
• শরীরে ক্লান্তি বা অবসাদ দেখা দেয়।
• শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
• স্তনের আকার বড় হয়ে যায়।
• হালকা রক্তক্ষরন হয়ে থাকে।
• সারভিক্যাল শ্লেষার পরিবর্তন দেখা দেয়।
• অতিরিক্ত পরিমানে প্রসাবের বেগ শুরু হয়।
• পেট ফুলে যায় এবং বুকের মধ্যে জ্বালাপোড়া শুরু হয়।
• বমি বমি ভাব এবং খাবারে অনীহা দেখা দেয়।
• মুখে লালা তৈরির পরিমান বেড়ে যায়।

• আপনার শরীরের যত্ন নিন
• ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন
• ভাল স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন
• প্রাকৃতিক প্রতিকার চেষ্টা করুন
• হরমোনজনিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিবেচনা করুন
• ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন

• বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।
• বুক এবং স্তনে ব্যথা
• ঘন ঘন প্রসাব হওয়া।
• ঘন ঘন মাথা ঘোরা।
• ক্লান্ত ও অবসাদ অনুভব করা।
• অনেক দুর্বলতা অনুভব করা।
• পেট ফেঁপে যাওয়া।
• খাওয়াতে অরুচি।
• বুক জ্বালা করা।
• ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া।
• স্তন নরম হয়ে যাওয়া।
• মেজাজ খিটখিটে হওয়া।

• ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার অথবা ফলমূল খাওয়া।
• পেটে গরম পানির সেক নেওয়া।
• যৌনমিলন করা। কারন যৌনমিলন করলে ঋতুস্রাব দ্রুত চলে আসে।
• আদা যুক্ত চা খাওয়া।
• পেপের তরকারি অথবা পেপে খাওয়া।
• সবসময় চিন্তা বা টেনশন মুক্ত থাকা।
• মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া।

• পিরিয়ডের সময় স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আচরন সংবেদনশীল হওয়া জরুরী।
• স্ত্রীর মন মানসিকতাকে বোঝার চেষ্টা করা।
• স্ত্রীর যেসব জিনিসপত্রের প্রয়োজন হবে তা কিনে আনা।
• সবসময় স্ত্রীর খোজ রাখার চেষ্টা করা।
• বাড়ির বিভিন্ন কাজে স্ত্রীকে সহায়তা করা।
• স্ত্রীর কথা শুনে চলা।
• স্ত্রীর সাথে সমালোচনা মুলক কথা না বলা।
• ইতিবাচক কথাবার্তা বলা।