কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে - বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন
আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। এছাড়াও আজকের পোস্টে আমরা কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে, বাতের ব্যথার লক্ষণ, বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়, বাতের ব্যথা হলে কি করা উচিত, বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়, বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করবো।
তাহলে চলুন জেনে নেই বাত ব্যথার কারন, লক্ষন এবং প্রতিকার সম্পর্কে।
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন চলুন জেনে নেই কি খেলে আমাদের বাতের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা সম্পর্কে। বাত ব্যথা হলো মূলত জয়েন্টের প্রদাহ।
এই রোগের কারনে আমাদের দেহে থাকা বিভিন্ন হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হয় এবং সেই জায়গা ফুলে যায়। কিছু খাবার আছে যা খেলে এই সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে এই ব্যথা ধীরে ধীরে উপশম হয়ে যায়। এখন চলুন জেনে নেই বাত ব্যথার জন্য উপকারী কিছু খাবারের নাম সম্পর্কে।
- মশলাজাতীয় বিভিন্ন খাবার যেমন- আদা, দারুচিনি এবং রসুন দেওয়া খাবার খেলে আমাদের বাতের ব্যথা দূর হয়ে যায়।
- ব্রোকলি আমাদের দেহের বিভিন্ন প্রদাহের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। আমাদের বাত ব্যথা কমাতেও ব্রোকলি অনেক কাজে দেয়।
- ওমেগা-৩ যুক্ত খাবারে ফ্যাটি এসিড বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের শরীরে থাকা বিভিন্ন ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।
- বাত ব্যথা দূর করার আরেকটি খাবার হলো পালংশাক। পালংশাকে প্রচুর পরিমানে এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা বাত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের হাড় মজবুত করার পাশাপাশি বাত ব্যথা দূর করে থাকে।
- দুধ এবং দুধ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবারে ক্যালসিয়াম বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের হাড়ের ক্ষয়রোধ করে এবং হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সেই সাথে আমাদের বাত ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
এতক্ষন আমরা জানলাম বাত ব্যথার ক্ষেত্রে কি কি খাবার খাওয়া যাবে তা সম্পর্কে। এখন চলুন জেনে নেই বাত ব্যথার ক্ষেত্রে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে। খাবারগুলো নিম্নরুপঃ
- অতিরিক্ত চিনিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- বিভিন্ন ধরনের ক্যান্ডি, কোল্ড ড্রিংক্স, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
- প্রক্রিয়াজাত করা বিভিন্ন ধরনের মাংস বাতের যন্ত্রনা বাড়িয়ে দেয়। তাই এধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- গ্লুটেন নামক প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
- এলকোহল সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- খাবারে অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যেসকল সবজিতে শিকড়ের মত বস্তু বিদ্যমান থাকে। সেইসকল খাবার যেমন- টমেটো, লেবু, আমড়া ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
বাতের ব্যথার লক্ষণ
পরবর্তীতে আমরা বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা পরবর্তীতে জানবো। এখন আমরা বাত ব্যথার বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে জানব। বাত ব্যথা হলো এক ধরনের প্রদাহের ব্যথা। বাত ব্যথা হলে আমাদের শরীরে থাকা বিভিন্ন জয়েন্টে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
জয়েন্ট ফুলে যায় এবং প্রচুর পরিমানে ব্যথা করে। এখন চলুন জেনে নেই বাত ব্যথার আরও লক্ষন সম্পর্কে। লক্ষনগুলি নিম্নরুপঃ
- গিটে ব্যথা করে।
- গিট বা গিরা ফুলে যায়।
- হাত-পা এ অনেক ব্যথা করে এবং নাড়াতে অসুবিধা হয়।
- জয়েন্টে জ্যাম লেগে থাকে।
- ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়।
- মাথার চুল পড়ে যায়।
- মুখের অভ্যন্তরে ঘা হয়।
- হাত পা ঝিম ঝিম করে।
বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা পরবর্তীতে জানবো। এখন চলুন জেনে নেই বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে। বাত ব্যথা হলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয়ে থাকে। জয়েন্ট ফুলে যায় এবং প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হয়।
যাদের বয়স ২৬-৪০ বছর তাদের ক্ষেত্রে এই অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এখন চলুন জেনে নেই বাত ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য কি করা উচিত তা সম্পর্কে। করনীয় কাজসমুহ নিম্নরুপঃ
- আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে দূরে রাখা। প্রচুর পরিমানে পানি পান করা। কারন পানি সমস্ত রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও পানি অনেক কার্যকরী।
- ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। কারন ভিটামিন জাতীয় খাবার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ওমেগা-৩ জাতীয় খাবার খাওয়া। এর সাথে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়া। এই ধরনের খাবার বাত ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন সময় করে ব্যায়াম করার অভ্যাস করা।
- শীতকালে এই অসুখের প্রবনতা বেড়ে যায়। তাই শীতের সময় ভারী পোশাক পরা জরুরি।
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
শীতকালে আমাদের বাত ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। বাত ব্যথা যেহেতু প্রদাহের ব্যথা সেহেতু শীতকালে এর সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে থাকা বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয়ে থাকে এবং ব্যথাযুক্ত স্থান ফুলে যায়।
এতে আমাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়ে থাকে। আমরা চলাফেরা করতে পারি না। এখন চলুন জেনে নেই বাতের ব্যথা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
- বাত ব্যথার ক্ষেত্রে আদা অনেক কার্যকরী একটি খাবার। যখন আমাদের বাতের ব্যথা বেশি হয়ে যায় তখন আমরা আদা চা সেবন করতে পারি। আদা বাত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- মশলাদার খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা। কারন অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার আমাদের প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মশলাদার খাবার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- মরিচের গুড়ার সাথে অলিভ ওয়েল মিশ্রিত করে সেটা ব্যথাযুক্ত স্থানে মালিশ করলে ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যায়।
- গরম পানি এবং ঠান্ডা পানির চিকিৎসা নেওয়া। আমাদের ব্যথাযুক্ত স্থান প্রথমে ঠান্ডা পানিতে রাখতে হবে এবং পরে সেই স্থান গরম পানিতে রাখতে হবে। এইভবে করলে ব্যথা অনেকটা কমে যায়।
- প্রতিদিন সময় করে সাতার কাটা। সাতার কাটার ফলে আমাদের শরীরের পেশি মজবুত হয় এবং ব্যথা দূর হয়ে যায়।
- বাতের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে আরেকটি উৎস হলো গ্রিন টি।
- প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া।
- ওমেগা-৩ জাতীয় খাবার আমাদের বাত ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
- বাদামে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক উপস্থিত থাকে। যা হাড় মজবুত করে এবং বাত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- খালি পায়ে হাটলে বাত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বাতের ব্যথা হলে কি করা উচিত
পূর্বে আমরা বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন আমরা জানব বাতের ব্যথা হলে আমাদের সাথে সাথে কি করা উচিত তা সম্পর্কে। বাত ব্যথা হলে প্রথমে ব্যথা কমানোর জন্য আমাদের আইস প্যাক দিয়ে ব্যথাযুক্ত স্থানে ঠান্ডা সেক দিতে হবে।
এতে করে ব্যথা অনেকটা কমে যায়। আবার হালকা গরম পানি দিয়ে ব্যথাযুক্ত স্থানে সেক দিলে ব্যথা কমে যায়। অতিরিক্ত বাতব্যথা হলে আমাদের ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়া উচিত এবং পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহন করা উচিত।
বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
পূর্বে আমরা জেনেছিবাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন আমরা জানব বাতের ব্যথা আমাদের শরীরের কোন কোন জায়গায় হয়ে থাকে সে সম্পর্কে। আমাদের শরীরে হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্ট থাকে। বাতের ব্যথা সাধারনত এই জয়েন্টে হয়ে থাকে। যেমন-
- হাটু
- কবজি
- ঘাড়
- কনুই
- মাংসপেশি
- কোমর ইত্যাদি।
বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ
পূর্বে আমরা বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন আমরা জানব বাতের ব্যথা দূর করার আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন ঔষধ সম্পর্কে। আমাদের বাত ব্যথা হলে আমরা কত কিছু না করি এইটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
কিন্তু মাঝে মাঝে এই সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পেলেও বেশিরভাগ সময় আমাদের মুক্তি মিলে না। যার কারনে আমরা বিভিন্ন ঔষধ সেবন করার প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। এখন চলুন জেনে নেই বাতের ব্যথার ক্ষেত্রে কিছু আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি সম্পর্কে।
- এলোভেরাতে প্রদাহের নিরাময় করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। যার কারনে বাত ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক টোটকা হিসেবে আমরা এলোভেরা ব্যবহার করতে পারি।
- নিরগুন্ডিতে অনেক বেশি পরিমানে এন্টি-ইনফ্লেমটরি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- ক্যারাম বীজে প্রদাহ নাশকারী বিভিন্ন উপাদান বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের বাতের ব্যথা উপশমে অনেক বেশি সাহায্য করে।
- দশমুল এক ধরনের ঔষধি গাছ। এতে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিদ্যমান। যা আমাদের দেহে প্রদাহজনিত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- বাতব্যথা কমানোর আরেকটি আয়ুর্বেদিক উপাদান হলো শাল্লাকি। এড়ি আমাদের শরীরে থাকা বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা দূর করে।
- বাত ব্যথা কমানোর জন্য আমরা ইউক্যালিপটাস গাছের পাতার রস খেতে পারি।
- আদার রস এবং আদা চা খেলে আমাদের বাতের ব্যথা কমে থাকে।
কি খেলে বাতের ব্যথা কমে
পূর্বে আমরা বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন আমরা বাত ব্যথা কমানোর বিভিন্ন খাবার সম্পর্কে জানবো
- রসুন খেলে বাত ব্যথা কমে যায়।
- হলুদে থাকা ঔষধি উপাদান বাত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- দুধ জাতীয় খাবার বাতের ব্যথা কমায়।
- মটরশুটিতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান বিদ্যমান থাকে। যা বাত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- পালং শাল খেলে বাত ব্যথা কমে যায়।
বাতের ব্যথার ব্যায়াম
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা পূর্বে জেনেছি। এখন আমরা জানব বাতের ব্যথা কমানোর বিভিন্ন ব্যায়াম সম্পর্কে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট মজবুত এবং শক্তিশালী থাকলে আমাদের বাত ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কম হয়।
এই কারনে আমাদের প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা উচিত। এখন চলুন কিছু ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নেই। ব্যায়ামসমুহ নিম্নরুপঃ
- প্রতিদিন নিয়ম করে পুশ আপ দেওয়া। কারন পুশ আপ দেওয়ার ফলে শরীরের সব পেশী শক্ত এবং মজবুত হয়। এতে করে আমাদের বাত ব্যথাও অনেকটা কমে যায়।
- হাফ স্কোয়াট দেওয়া। এইক্ষেত্রে পা কিছুটা ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের কোমর সোজা একবার বসা এবং ঊঠা এইভাবে করতে হবে।
- লেগ রেইজ করা। এইটা করার জন্য আপনাকে শুয়ে পড়তে হবে। এবার দুই পা একসাথে ওপরের দিকে তুলতে হবে। এইভাবে করলে বাত ব্যথা কমে যায়।
বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
প্রিয় পাঠক আজকের পোস্টের মূল আলোচনার বিষয় ছিল বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন আমরা বাথের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানবো। বাত ব্যথা সম্পর্কে আমরা ওপরে অনেক তথ্য জেনেছি। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য আপনাকে নিয়মিত আদা, রসুন, দারুচিনি এবং নানারকম মসলা খেতে হবে এগুলো প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে।
যার কারণে এগুলো বেশি বেশি খেলে বাত ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে। আমাদের পরিচিত একটি সবজি হচ্ছে ব্রকলি। আমরা অনেকই হইত জানিনা যে ব্রকলি বাতের ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। কেননা এতে রয়েছে সালফোরাফেনের মত প্রদাহনাশক যা বাতের ব্যথার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বাতের ব্যথা কমাতে নিয়মিত খাবারের তালিকাই ব্রকলি রাখুন।
লেখকের মন্তব্য
আজকের পোস্ট থেকে আমরা বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়, কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে, বাতের ব্যথার লক্ষণ, বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়, বাতের ব্যথা হলে কি করা উচিত, বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়, বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি।
আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। এই ধরনের পোস্ট আমরা প্রতিনিয়ত আপনাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করে থাকি। প্রতিনিয়ত পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ফলোও করুন এবং নিয়মিত আপডেট থাকুন। আপনার দাদা-দাদি নানা-নানি যারা বাতের সমস্যাই ভুগে তাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে তাদের সমস্যা সমাধানের সুযোগ করে দিন।
রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url