পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আজকের আমাদের পোস্টের বিষয় হলো পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা সম্পর্কে। এছাড়াও আমরা দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা, মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা, হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা, গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা, পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করবো।
পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা
তাহলে চলুন জেনে নেই বিভিন্ন অসুখ এর কারন, লক্ষন এবং প্রতিকার সম্পর্কে।

পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা

আমাদের চারপাশে যারা রয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের গোপনাঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আমরা লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বলতে পারি না। এমনকি ডাক্তারের সাথেও এইসব বিষয়ে কথা বলতে আমাদের অনেক লজ্জাবোধ হয়।

যেকারনে গোপনে থাকা অবস্থাতেই আমাদের এই রোগগুলা বড় আকার ধারন করে। আমাদের এইসব গোপন সমস্যা ডাক্তারকে লজ্জা না করে খুলে বলতে হয়। কারন না বললে আমরা সঠিক চিকিৎসা পাবো না। এর ফলে আমাদের শরীরে নানা ক্ষতি হয়ে থাকে। এখন চলুন জেনে নেই পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি হলে কোন ধরনের চিকিৎসা নেওয়া উচিত তা সম্পর্কে।

পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা নিম্নরুপঃ
  • পেনিসের ওপরের অংশ সবসময় পরিস্কার করে রাখা উচিত।
  • বিভিন্ন ধরনের ফাংগাস দূর করা ক্রিম পাওয়া যায় যা আমরা পেনিসের মাথায় ব্যবহার করতে পারি।
  • আমরা যে কাপড় পরবো তা যেন অবশ্যই নরম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • কাপড়ের জন্য উপযোগী এবং স্বাস্থ্যসম্মত ডিটারজেন্ট পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
  • মোটা পোশাক পরিধান করা যাবে।
  • শরীরে ঘাম হলে সেই সব পোশাক যত দ্রুত সম্ভব শরীর থেকে খুলে ফেলে ঘামমুক্ত পোশাক পরা উচিত।
  • অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • যেসকল সাবানে এলারজির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সেসকল সাবান শরীরে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • নিয়মিত গোসল করে শরীরকে পরিস্কার রাখতে হবে।

দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা

পূর্বে আমরা পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা দ্রুত বীর্যপাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য কি করা উচিত তা সম্পর্কে জানবো। যৌন মিলনের সময় সঙ্গীনিকে সুখ দেয়ার আগেই যদি পুরুষের বীর্য বের হয়ে যায় তখন তাকে দ্রুত বীর্যপাত বলে।

  • আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষের এই সমস্যাটি রয়েছে। ধারনা করা হয় প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন ব্যক্তি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। এখন চলুন জেনে নেই দ্রুত বীর্যপাতের বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে। লক্ষনগুলি নিম্নরুপঃ
  • কখনো ১-২ মিনিটের বেশি বীর্য ধরে রাখতে না পারা।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঙ্গীনির পূর্বে বীর্যপাত করে ফেলা।
  • সঙ্গীনির সাথে প্রায়ই সময়ই যৌনজীবনের কারনে কলহ লেগে থাকে।
  • সঙ্গীনির আচরনের খিটখিটে ভাব দেখা দেয়।
  • সহবাসের সময় পুরুষ বা নারী কেউই তৃপ্তি না পাওয়া।
এতক্ষন আমরা দ্রুত বীর্যপাতের বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা দ্রুত বীর্যপাতের কয়েকটি কারন সম্পর্কে জানবো। কারনগুলো হলোঃ
  • ডায়াবেটিস থাকলে এ সমস্যা দেখা দেয়।
  • মুত্রথলিতে বিভিন্ন সংক্রমন থাকলে দ্রুত বীর্যপাত ঘটে থাকে।
  • সিফিলিস এর মত সমস্যা থাকলে।
  • গনোরিয়া রোগ শরীরে থাকলে।
  • আমাদের হৃদপিণ্ডে বিভিন্ন রোগ থাকলে।
  • অতিরিক্ত পরিমানে মাদকদ্রব্য সেবন করলে।
  • মানসিক চাপে থাকলে।
  • অতিরিক্ত পরিমানে উত্তেজিত অবস্থায় থাকলে।
  • শারীরিক বিভিন্ন দুর্বলতা থাকলে।
এতক্ষন আমরা দ্রুত বীর্যপাতের বিভিন্ন কারন সম্পর্কে জানলাম। এখন চলুন জেনে নেই দ্রুত বীর্যপাত দ্রুত বীর্যপাতের বিভিন্ন প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে।
  • মিলনের সময় গভীর শ্বাস নেওয়া উচিত।
  • বীর্য বের হয়ে যাবে মনে হলে গভীর শ্বাস নেওয়া উচিত।
  • ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২-৩ বার মিলন করা। এতে করে দ্রুত বীর্যপাত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
  • যৌনমিলনের পূর্বে তরমুজের জুস বা ব্ল্যাক কফি খেয়ে নেওয়া উচিত।
  • মিলনের সময় অল্প সময় বিরতি নেওয়া।
  • বিভিন্ন ধরনের আসনে মিলন করা।
  • দ্রুত বীর্যপাত রোধে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাওয়া উচিত।
  • অতিরিক্ত সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা পূর্বে জেনেছি। এখন আমরা জানব মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। মাম্পস হলো এক ধরনের ঠান্ডাজনিত সমস্যা। এই রোগ সারানোর জন্য আমরা ঘরোয়া উপায়ে যেসকল পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  • আমাদের মাম্পস এর সমস্যা কমাতে আদা খেতে পারি। কারন আদা তে থাকা এন্টি ইনফ্লেমটরি উপাদান যন্ত্রনা কমাতে সাহায্য করে।
  • হরিতকী আমরা মাম্পস এর ফোলা জায়গায় ব্যবহার করতে পারি। এতে করে যন্ত্রনা এবং ফোলা উভয়ই কমে যায়।
  • এলোভেরার জেল এর সাথে হলুদ মিশিয়ে গলায় মালিশ করলে মাম্পস এর যন্ত্রনা এবং এই সমস্যা দূর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • শতমূলীর পেস্ট মাম্পস আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিলে আমাদের এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।

হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা

পূর্বে আমরা পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানব হস্ত মৈথুন থেকে বাচার জন্য কি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় তা সম্পর্কে। উঠতি বয়সে ছেলেমেয়ের একটি সাধারন সমস্যা হলো এই হস্তমৈথুন এর সমস্যা।

অতিরিক্ত পরিমানে যৌনবিষয়ে কৌতুহল এবং যৌন উত্তেজনার বশে ছেলে এবং মেয়ে এই কাজে লিপ্ত হয়। তবে অতিরিক্ত পরিমানে কেউ এই বিষয়ে আসক্ত হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে তার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

যৌনজীবনে এবং লিঙ্গের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় হস্তমৈথুন করলে। এখন চলুন জেনে নেই হস্তমৈথুন ছাড়ার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে। উপায়সমুহ নিম্নরুপঃ
  • প্রতিদিন সময়মত ঘুমানো।
  • অতিরিক্ত টেনশন বা চাপ থেকে মুক্ত থাকা।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করা।
  • কখনো ঘরে একাকি না থাকা।
  • পর্ণ গ্রাফি বা খারাপ ভিডিও দেখা থেকে দূরে থাকা।
  • নিয়মিত নামাজ পড়ার অভ্যাস করা।

গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ ও চিকিৎসা

পূর্বে আমরা পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানব গ্যাস্ট্রিক আলসার এর বিভিন্ন লক্ষন এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে।
গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষনঃ
  • পেটে সবসময় গ্যাস এর কারনে ফুলে থাকে।
  • পেট জ্বালাপোড়া করে।
  • বমিভাব বা বমি হয়ে থাকে।
  • খাবার খেলে পেটে প্রচন্ড ব্যথা হয়ে থাকে।
  • বমি করলে তার সাথে রক্ত বের হয়।
  • শরীরের ওজন কমে যায়।
  • মলের রং পরিবর্তন হয়ে কালো হয়ে যায়।
এতক্ষন আমরা গ্যাস্ট্রিক আলসার এর বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা গ্যাস্ট্রিক আলসার এর চিকিৎসা সম্পর্কে জানব। চিকিৎসা পদ্ধতি নিম্নরুপঃ
  • ইনহেবিটর এর প্রয়োগ করা।
  • এন্টিবায়োটিক সেবন করা।
  • ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
  • এলকোহল পান থেকে বিরত থাকা।
  • কারবোনেটেড পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
  • বিভিন্ন ধরনের চকলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
  • তেলেভাজা বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিহার করা।
  • আমাদের প্রতিদিনের ডায়েট মেনে চলা।
  • মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

পূর্বে আমরা পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা পাইলস এর বিভিন্ন চিকিৎসা সম্পর্কে জানবো। চিকিৎসা পদ্ধতি নিম্নরুপঃ
  • এলোভেরা জেল পাইলস এর কারনে হওয়া ব্যথাযুক্ত স্থানে লাগিয়ে আলতো করে মালিশ করা।
  • বরফ দিয়ে ব্যথাযুক্ত স্থানের ব্যথা কমানো।
  • প্রতিদিনের খাবারে অলিভ অয়েল খেলে আমাদের পাইলস এর সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • শরীর অনেক সময় ডিহাইড্রেটেড অবস্থায় থাকলে আমাদের পাইলস এর সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের শরীর সবসময় হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করা।
  • জাম খেলে আমাদের পাইলস এর সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • প্রতিদিন নিয়ম করে এক চা চামচ এপেল সিডার ভিনেগার খেলে আমরা পাইলস এর হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা

পূর্বে আমরা পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো ডেঙ্গু রোগের বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে। লক্ষনগুলি নিম্নরূপঃ
  • শরীরে প্রচন্ড পরিমানে জ্বর দেখা দেয়।
  • অনেক বেশি পরিমানে মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।
  • বমিভাব দেখা দেয় বা বমি হয়ে থাকে।
  • ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
  • শরীরে অতিরিক্ত পরিমানে ঠান্ডা লেগে থাকে।
  • ক্ষুধার পরিমান কমে যায়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দেয়।
  • আমাদের রক্তচাপ হঠাত কমে বা বেড়ে যায়।
  • পেশিতে ও হাড়ে ব্যথা হয়ে থাকে।
এতক্ষন আমরা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা ডেঙ্গু জ্বরের বিভিন্ন চিকিৎসা
সম্পর্কে জানবো। চিকিৎসা পদ্ধতি নিম্নরুপঃ
  • প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।
  • এসপিরিন বা ব্যথানাশক ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।
  • জ্বর কমানোর জন্য কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছতে পারি।
  • অনেক বেশি পরিশ্রম করা উচিত।
  • সারাদিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাটা বা হালকা ব্যায়াম করা।
  • রোগ চলাকালীন সময়ে বাইরের খাবার না খাওয়াই উত্তম।

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা পেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা, দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা, মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা, হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা, গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা, পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি।

আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। এই ধরনের পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ফলোও করুন এবং নিয়মিত আপডেট থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url