ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় - গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এবং গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। এছাড়াও আমরা গলা ব্যথা কমানোর সেরা ৫টি ঘরোয়া উপায় , গলা ব্যথা হলে কি করা উচিত, গলা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার, গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত, গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত, ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করবো।
তাহলে চলুন জেনে নেই গলা ব্যথার কারন, লক্ষন এবং প্রতিকার সম্পর্কে।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয়
আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এবং গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন চলুন জেনে নেই ঢোক গিলার সময় আমাদের গলা ব্যথা কেন হয় তা সম্পর্কে। গলা ব্যথার প্রধান কারন হয়ে থাকে চারিপাশের আবহাওয়া।
গরম এবং ঠান্ডার সংমিশ্রনে তৈরি আবহাওয়ার জন্য আমাদের গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়াও আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে আমাদের সর্দি কাশিরও সমস্যা দেখা দেয়। গলা ব্যথা অনেক সময় নিজে থেকে ঠিক হয়ে যায়।
কিন্তু অনেক সময় আছে এই ব্যথা সহজে ঠিক হতে চায় না। পরবর্তীতে এই গলা ব্যথার কারনে অন্যান্য বিভিন্ন অসুখ হয়ে থাকে। ঢোক গিলতে গেলে ব্যথা হওয়া অনেক সময় ক্যান্সার এর লক্ষন হিসেবে ধরা হয়। তাই দীর্ঘ দিন গলা ব্যথা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
গলা ব্যথা হলে কি করা উচিত
আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এবং গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথা হলে আমাদের কি করা উচিত তা সম্পর্কে। আবহাওয়া এবং আমাদের প্রতিদিনের করা কিছু কাজ এর জন্য গলা ব্যথা হয়ে থাকে। গলা ব্যথা সবথেকে যেটা অসুবিধা হয় তা হলো খাবার খাওয়া। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথা হলে কি করা উচিত তা সম্পর্কে।
- আমাদের গলা মোটা এবং গরম কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখা।
- ঠান্ডাজাতীয় কোনোকিছু না খাওয়া।
- নেশাদ্রব্য বা তামাকজাতীয় দ্রব্য সেবন না করা।
- এলকোহল সেবন না করা।
- প্রচুর পরিমানে পানি পান করা।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা।
গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ
আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এবং গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন আমরা জানবো গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে।
- র্যাক্সিম ১০০ এম জি ট্যাবলেট
- ই ফিক্স ১০০ এম জি ট্যাবলেট
- ডক্সিক্যাপ ১০০ এম জি ট্যাবলেট
- সেফিনার ১০০ এম জি ট্যাবলেট
- জিরোডল ১০০ এম জি ট্যাবলেট
- ক্লাফোরেন ও ১০০ এম জি ট্যাবলেট
- পেডিক্সিম ১০০ এম জি ট্যাবলেট
গলা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
গলা ব্যথা কমানোর সেরা ৫টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা এর পরবর্তীতে জানবো। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথার বিভিন্ন কারন এবং প্রতিকার সম্পর্কে। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথার বিভিন্ন কারন সম্পর্কে।
গলা ব্যথার কারনসমুহঃ
- গলাতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমন দেখা দিলে।
- অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগলে।
- আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে।
- দীর্ঘ সময় ধরে কথা বললে।
- ভাইরাস জনিত অসুখ থাকলে।
- এলারজি জনিত বিভিন্ন সমস্যা থাকলে।
- অতিরিক্ত পরিমানে ধুমপান করলে।
- বেশি মশলাযুক্ত খাবার খেলে।
- গলায় থাকা মাংশপেশিতে চাপ বা আঘাত লাগলে।
- অতিরিক্ত মদ পানের কারনে।
- গলায় টিউমার থাকলে।
এতক্ষন আমরা গলা ব্যথার বিভিন্ন কারন সম্পর্কে জানলাম। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথার বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে।
গলা ব্যথার লক্ষনসমুহ নিম্নরুপঃ
- গলাতে চুলকানি বা খুসখুসে ভাব দেখা দেয়।
- ঢোক গিলতে গেলে ব্যথা অনুভুত হয়।
- কোনো কারন ছাড়াই বমি হয়।
- শরীরে বিভিন্ন অংশে র্যাশ এর মত দেখা দেয়।
- প্রচন্ড মাথা ব্যথা করে।
- গলাতে টন্সিল দেখা দেয়।
- শরীরে কাপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
এতক্ষন আমরা গলা ব্যথার বিভিন্ন লক্ষন সম্পর্কে জানলাম। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কি করা উচিত তা সম্পর্কে।
করনীয় কাজগুলো নিম্নরুপঃ
- দিনে অনেক বেশি সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
- অন্যের ব্যবহার করা কোনো কিছু ব্যবহার করা যাবে না।
- অপরের ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- সবার জন্য আলাদা আলাদা গ্লাস বা পানির জগ ব্যবহার করতে হবে।
- আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দুরত্ব মেনে চলতে হবে।
- হাচি কাশি দেওয়ার সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।
- ধুমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- লবন দিয়ে গড়গড়া করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে।
গলা ব্যথা কমানোর সেরা ৫টি ঘরোয়া উপায়
ঠান্ডাজনিত কারনে এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে আমাদের গলা ব্যথা হয়ে থাকে। গলা ব্যথা হলে বিশেষ করে খাবার খাওয়ার সময় অনেক বেশি সমস্যা হয়। এই ব্যথা বেশিরভাগ সময় নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় তা ঠিক হতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়।
এমতাবস্থায় আমাদের গলা ব্যথা থেকে বিভিন্ন অসুখ দেখা দেয়। এই ব্যথা থেকে পরিত্রান পেতে আমরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকি। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আমরা কি কি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারি তা সম্পর্কে।
গলা ব্যথা কমানোর সেরা ৫টি ঘরোয়া উপায়সমূহ নিম্নরুপঃ
মধুঃ গলা ব্যথা কমানোর জন্য আমরা মধু সেবন করতে পারি। আমরা গরম চা এর সাথে মধু মিশ্রিত করে খেতে পারি। এতে করে আমাদের গলা ব্যথা অনেকটা কমে যায়।
গোলমরিচঃ গলা ব্যথার আরেকটি উপাদান হলো গোলমরিচ। গোলমরিচে এন্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, এন্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টি ভাইরাল উপাদান বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
মেথিঃ গলা ব্যথা দূর করতে আমরা মেথির ব্যবহার করতে পারি। মেথিতে এন্টি-ফাঙ্গাল উপাদান থাকে। যা আমাদের দেহ থেকে ছত্রাক দূর করতে সাহায্য করে এবং ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে থাকে। এছাড়াও ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডাতে এন্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে। যা শরীরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। আমাদের গলা ব্যথা কমাতে আমরা বেকিং সোডার ব্যবহার করতে পারি।
রসুনঃ আমাদের গলা ব্যথা দূর করতে আমরা রসুন ব্যবহার করতে পারি। এতে অরগানিক সালফার যৌগ বিদ্যমান থাকে। যা শরীরে বিভিন্ন সংক্রমনের সাথে লড়াই করে। ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে থাকে।
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এবং গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা পূর্বে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে। গলা ব্যথা হলে কিছু খাবার আছে যা আমাদের গলার জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে থাকে।
যেমন- অতিরিক্ত ঠান্ডাজাতীয় খাবার খেলে গলা ব্যথার পরিমান আরও বেড়ে যায়। তাই গলা ব্যথা চলাকালীন সময়ে ঠান্ডাজাতীয় কোনো কিছু খাওয়া উচিত নয়। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথা হলে কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে। খাবারসমুহ নিম্নরুপঃ
- আদা
- হলুদ
- তুলসি
- আমলকি
- মধু
- লেবু
- কমলা
- জষ্টি মধু
- ডার্ক চকলেট
- বিভিন্ন ধরনের সিরাপ ইত্যাদি।
গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত
পূর্বে আমরা পূর্বে আমরা জেনেছি ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এবং গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথা হলে আমাদের কি ঔষধ সেবন করা উচিত তা সম্পর্কে।
গলা ব্যথার ঔষধঃ
- নাপা
- রোল্যাক
- সোয়ালেক্স
- ডক্সিক্যাপ
- ই-ফিক্স
- টিডোসিল
- জি-ম্যাক্স
কাশির সিরাপসমূহ নিম্নরুপঃ
- পিওরিসাল
- টমিফেন
- তুসকা
- এডলিফ
সর্দি এবং গলা ব্যথার ঔষধঃ
- হিস্টাসিন
- হিস্টালেক
- ফেক্সো
- এইচ প্লাস
- নাপা এক্সটেন্ড
ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয়
পূর্বে আমরা জেনেছি ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এবং গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন চলুন জেনে নেই গলা ব্যথা হলে কি করা উচিত তা সম্পর্কে। করনীয় কাজগুলো নিম্নরুপঃ
- কিছুক্ষন পর পর হাত ধুতে হবে।
- খাবারের প্লেট আলাদা করে রাখতে হবে।
- লবন দিয়ে গড়গড়া করতে হবে।
- গলাতে গরম এবং মোটা কাপড় জড়িয়ে রাখতে হবে।
- আদা সেবন করা।
- রসুন এর রস পান করা।
- তুলসির রস পান করা।
দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ
আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এবং গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই দ্রুত গলা ব্যথা কমানোর বিভিন্ন ঔষধ সম্পর্কে। ঔষধসমুহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- নাপা এক্সটেন্ড
- ডক্সিক্যাপ
- ই-ফিক্স
- জিরোডল
- টিডোসিল ইত্যাদি।
লেখকের মন্তব্য
আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় এবং গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা আর জেনেছি গলা ব্যথা হলে কি করা উচিত, গলা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার, গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত, গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত, ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানলাম।
আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের পোস্ট আপনাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করে থাকি। নিয়মিত পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ফলোও করুন এবং আপডেট থাকুন।
রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url