কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় জানতে পড়ুন

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে, কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা আরও জানবো বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ, পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হয়, পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না এবং পেট ব্যাথা, পাতলা পায়খানা ঔষধ ও পাতলা পায়খানা ট্যাবলেটের এর নাম সম্পর্কে। আপনি অথবা আপনার পরিবারের কেউ যদি উক্ত সমস্যায় ভূগেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য কেননা আজকের পোস্টে আমরা পাতলা পায়খানা সর্ম্পকিত বিভিন্ন তথ্য জানবো।  
কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাতলা পায়খানাজনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান।

কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়

পাতলা পায়খানা হচ্ছে একটি সর্বজনীন সমস্যা। ছোট বড় সবারই এই সমস্যা হয়ে থাকে। তবে পাতলা পায়খানা কোন বিশেষ অসুখ নয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য অভ্যাসের বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে পাতলা পায়খানা হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানা কিছু বিশেষ রোগের লক্ষণও প্রকাশ করে। তাই পাতলা পায়খানা হলে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে সেটি কতদিন স্থায়ী থাকছে। সাধারণ পাতলা পায়খানা সাধারণত দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত থাকে। 

অপরদিকে বিভিন্ন অসুখের জন্য পাতলা পায়খানা যদি হয় তাহলে সেটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত লেগে থাকতে পারে। তাই আমাদের পূর্বে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আজকের পোস্টের আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত। পাতলা পায়খানা বন্ধের জন্য আমরা কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। তাহলে যে চলুন জেলে নেওয়া যাক কি কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

লেবুর রস
  • প্রথমেই বলে রাখি লেবুর রসের সাধারণত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা আমাদের পেটকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাই পাতলা পায়খানা বন্ধের জন্য অবশ্যই লেবুর রস খেতে পারেন। সেই প্রাচীনকাল থেকে পাতলা পায়খানার ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে লেবুর রস ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক্ষেত্রে আপনি নিম্নোক্ত উপায়ে লেবুর রস খেতে পারেন।
  • একটি তরতাজা লেবু নিন। এবার এটির রস নিষ্কাশন করুন। উক্ত রস একটি বাটিতে নিয়ে এরমধ্যে এক চামচ লবণ এবং এক চামচ চিনি যোগ করুন। উক্ত মিশ্রণটিকে ভালোভাবে মেশান।
  • উক্ত শরবতটি দিনে অনেক কয়বার পান করুন যতক্ষণ পর্যন্ত না পাতলা পায়খানা বন্ধু হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত। দেখবেন খুব দ্রুতই আরাম মিলবে।
  • পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়ে গেলে অন্তত দুই থেকে তিন দিন উক্ত শরবতটি পান করতে থাকুন। এটা করে আপনার শরীরের পাতলা পায়খানা জনিত কোন সমস্যা থাকলে সেটি সমাধান হয়ে যাবে।
  • স্বাভাবিক খাবার খাবার পূর্বে দুই থেকে তিন দিন তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কাঁচা পেঁপে
  • কাঁচা পেঁপে খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না কাঁচা পেঁপে পাতলা পায়খানা কমানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তার পাশাপাশি এটি আমাদের পেটের ব্যাথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
  • একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ পানি নিন। এবার এতে কাঁচা পেঁপে নিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন।
  • এবার ফুটন্ত পানি থেকে পেঁপে থেকে আলাদা করুন।
  • এবার উক্ত পেঁপে দিনে তিন থেকে চার বার খেতে থাকুন। সুষ্ঠু অনুভব না করা পর্যন্ত খেতে থাকুন।
শুকনো আদা
  • আমরা জানি আদায় একটি মসলা জাতীয় খাবার। কিন্তু অনেকেই জানে না আদা পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং পাতলা পায়খানা কমাতেও সাহায্য করে। কেননা আদাতে থাকে এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
  • এক কাপ পানিতে অথবা ঘোলে আধা চামচ শুকনো আদার গুঁড়ো মিশান।
  • উক্ত মিশ্রণটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে দিলে তিন থেকে চার বার পান করুন।
  • দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনি পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যা থেকে পাবেন।
বেল পাতার পাউডার
  • বেল অথবা বেল পাতার পাউডার আমাদের পাকস্থলীর সমস্যা কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
  • একটি পাত্রে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম শুকনো বেলপাতার অথবা ফলের বুড়ো নিন। এবার তাতে দুই থেকে তিন চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
  • উক্ত মিশ্রণটিকে দিনে দুই থেকে তিনবার খান। খেতেই থাকুন যতদিন পর্যন্ত না পাতলা পায়খানা সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে।
ডালিম খান
  • ডালিম একটি বিশেষ পুষ্টিজনিত জনিত ফল যা আমাদের পাতলা পায়খানার সমস্যাকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
  • পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তির জন্য দিনে দুই থেকে তিনটি ডালিমের বীজ খেয়ে নিতে পারেন। ডালিমের বীচ আপনার পায়খানাকে পাতলা থেকে শক্ত করবে এবং পাতলা পায়খানা সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।
  • ডালিমের বীজ কাঁচা না খেতে পারলে একটি ব্লেন্ডারে ডালিমের বীজ থেকে জুস বের করে নিতে পারেন। উক্ত জুসটি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।
  • অনেকে আবার ডালিম পাতা ফুটন্ত পানিতে গরম করে উক্ত পানি ঠান্ডা করে খেয়ে থাকে।
সরিষার বীজ
  • সরিষা বীজে সাধারণত এন্টি ব্যাকটেরিয়াল  উপাদান থাকে যা পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
  • কিছু পরিমাণ পানিতে এক চামচ সরিষার বীজ মিশান। উক্ত মিশ্রণটি দুই থেকে তিন ঘন্টা রেখে দিন।
  • এবার উক্ত মিশ্রণটি সেঁকে বীজ এবং পানি আলাদা করুন।
  • এবার এই পানি পান করুন যেমনটা আপনি সাধারণভাবে পানি পান করেন সেভাবে।
  • পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দিনে তিন থেকে চারবার এই পানি পান করতে পারেন।
মধু খান
  • মধু একটি ঔষধি উপাদান। মধু শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে দিতে ব্যবহৃত হয়। মধু আমাদের পায়খানা বন্ধের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • একটি পাত্রে এক চামচ ফ্রেশ ও খাটি মধু নিন।
  • এবার উক্ত পাত্রে আধা চামচ দারুচিনির গুড়ো দিন। উক্ত মিশ্রণটিকে ভালোভাবে মেশান।
  • পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি পেতে দিনে দুই থেকে তিনবার উক্ত মিশ্রণটি খান। এতে দেখবেন দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনার পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যার সমাধান হয়েছে।
প্রিয় পাঠক উপরিক্ত তথ্য থেকে আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছি কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ

আজকের পোষ্টের আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা ইতিমধ্যেই সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছি। এখন আমরা জানবো বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা সিরাপ সম্পর্কে বিস্তারিত। বাচ্চারা সাধারণত পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যায় বেশি ভোগে। যার কারণে মা-বাবারা প্রায় তাদের পাতলা পায়খানার বন্ধের সিরাপ সম্পর্কে জানতে চাই। তাই এখন আমরা নিচে কিছু বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা সিরাপ সম্পর্কে জানব।

খাবার স্যালাইনঃ ডায়রিয়ার সর্বোত্তম এবং সর্বপ্রথম ঔষধ হচ্ছে খাবার স্যালাইন। কেননা ডায়রিয়া হলে সাধারণত শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। আর পানি শূন্যতা দেখা দিলে শরীরে নানা রকম বিপর্যয় ঘটতে পারে। তাই পাতলা পায়খানা হলে বাচ্চাকে সর্বপ্রথম খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি বাড়িতে চাইলে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে পারেন অথবা ডাক্তারের দোকান থেকে কিনে এনে খাওয়াতে পারেন।

জিংকঃ জিংক ট্যাবলেট পাতলা পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে আনে। তাই আপনি আপনার বাচ্চার পাতলা পায়খানার সমাধানের জন্য জিংক ট্যাবলেট কিংবা জিং সিরাপ খাওয়াতে পারেন।

লোপেরমাইড ঔষধঃ আপনি যদি খুব দ্রুত পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে চান তাহলে লোপেরমাইড ঔষধ খাওয়াতে পারেন। তবে ঔষধটি ১০ থেকে ১২ বছরের কম বয়সে শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। কেননা তাদের এই ওষুধটি সেবন করালে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই যে কোন ওষুধ সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

প্যারাসিটামলঃ জ্বর হলে আমরা সাধারণত প্যারাসিটামল খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা হয়তো জানি না প্যারাসিটামল পেটে অস্বস্তি বোধ করলেও খাওয়া হয়। অর্থাৎ প্যারাসিটামল অন্যান্য ওষুধের সাথে সঠিক পরিমাণে খাওয়াতে পারলে পাতলা পায়খানা থেকে এবং জ্বর থেকে মুক্তি মিলবে।

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ইতিমধ্যেই বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ সম্পর্কে এবং অন্যান্য ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছি।

পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হয়

পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হয় এটা অনেকেরই অজানা। কেননা পাতলা পায়খানা হলে এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আপনার পাতলা পায়খানা আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই অন্তত পাতলা পায়খানা হলে খাবারের বিষয়টা মেনে চলা উচিত। কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত পাতলা পায়খানা হলে সে সম্পর্কে আমরা এখন জানবো। শুনুন নিচে জেনে নেওয়া যাক পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খেতে হবে।

খাবার
  • কলা
  • পেঁপে
  • আলু
  • কলার স্মুদি
  • ভাতের মাড়
  • কাঁচা কলা
পানীয় 
  • ডাবের পানি
  • আখের রস
  • বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি
  • ঘোল
  • লেবুপানি
  • স্যালাইন
  • চিড়ার পানি
যেসব খাবার খাবেন না
  • অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার
  • তেলে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার
  • চা কিংবা কফি
  • ফাস্টফুড জাতীয় খাবার
  • ঝাল তরকারি
উপরিক্ত খাবারগুলো অবশ্যই পাতলা পায়খানা হলে খাওয়া উচিত। খাবারগুলো নিয়মিত খেলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে আপনার পাতলা পায়খানার জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না

উপরিক্ত আলোচনা থেকে আমরা জেনে গেছি যে পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খেতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। আজকের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা ইতিমধ্যে অপরিচিত তথ্য থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছি। সাধারণত দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের সমস্যার কারণে হজম ক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে যার কারণে পাতলা পায়খানার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। সুতরাং আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কোন কোন খাবার খেলে উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার পরিহার করা উচিত।

  • দুধের তৈরি খাবার
  • অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার
  • তেলেভাজা খাবার
  • অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার
  • চা বা কফি
  • মাছ, মাংস অথবা ডিম
  • কার্বনেটের জাতীয় পানীয়
  • আধা কাঁচা খাবার
  • অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়
  • বাঁশি পঁচা খাবার
উপরের খাবারগুলো পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত রোগীকে কোনমতেই দেওয়া উচিত নয়। উক্ত খাবারগুলো খেলে অবস্থা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে যাবে।

পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার ঔষধ

আজকের পোষ্টের আলোচনার বিষয় হচ্ছে কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়ে যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত। এখন আমরা জানবো পেট ব্যাথা ও পাতলা পায়খানার ঔষধ সম্পর্কে। পাতলা পায়খানার ওষুধ সম্পর্কে আমরা উপরে ইতিমধ্যে জেনে গেছি। পাতলা পায়খানা সর্বোত্তম ওষুধ হচ্ছে স্যালাইন। কেননা পাতলা পায়খানা হলে শরীরে অনেক পানি শূন্যতা দেখা দেয়। আর পানিশূন্যতা রোধ করার জন্যই খেতে হয়। 

অপরদিকে পেট ব্যথার জন্য সাধারণত এন্টিস্পাসমোডিক জাতীয় ঔষধ খাওয়া হয়। আবার লপেরামাইড জাতীয় ওষুধ যেমন অ্যান্টিমটিলিটি এটি আপনার পাতলা পায়খানা কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ আপনার পাকস্থলীর চলন কমে যায় যার ফলে আপনার টয়লেটে যাওয়ার প্রবণতা অনেক কমে যায়। তাই পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি পেতে এই জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন। 

তবে অনেক হাতুড়ি ডাক্তার আছে যারা আপনাকে সরাসরি কিছু ঔষধ ধরিয়ে দেন যেমন মেট্রোনিডাজল, সিপ্রোফ্লস্কাসিন,অ্যাজিথ্রোমাইসিন ইত্যাদি। এগুলো যেমন পাতলা পায়খানা কমায় ঠিক তেমনি অনেক ক্ষতিও করে তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এগুলো খাওয়া উচিত নয়। আশা করি আপানারা আপনাদের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।

পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম

পাতলা পায়খানা হলে আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। আর পানিশূন্যতা দেখা দিলে শরীর অনেক দূর্বল হয়ে যায়। এমতাবস্থায় পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রচুর স্যালাইন খেতে হবে। পাতলা পায়খানার সর্বত্তম ঔষধ হচ্ছে স্যালাইন। আপনি বাজার থেকে স্যালাইন কিনে খেতে পারেন অথবা বাড়িতে তৈরি করতে পারেন। তবে অনেক হাতুড়ি ডাক্তার আছে যারা আপনাকে সরাসরি কিছু ঔষধ ধরিয়ে দেন যেমনঃ 
  • লপেরামাইন্ড
  • কোডিন
  • মেট্রোনিডাজল
  • সিপ্রোফ্লস্কাসিন
  • অ্যাজিথ্রোমাইসিন
উক্ত ঔষধগুলো সরাসরি খাওয়া উচিত নয়। তাই পাতলা পায়খানা হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। আর বেশি বেশি খাবার স্যালাইন খাওয়া উচিত। আজকের পোস্ট থেকে আমরা জানলাম কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

লেখকের মন্তব্য

সবমিলিয়ে আজকের আলোচনা থেকে আমরা জানলাম কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সে সম্পর্কে। আমরা আরও জেনেছি বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ, পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হয়, পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না, পাতলা পায়খানা ট্যাবলেট এর নাম এবং পেট ব্যাথা ও পাতলা পায়খানা দর ঔষধ সম্পর্কে।

আশা করি পোস্টটি থেকে আপনারা একটু হলেও উপকৃত হয়েছেন। এইরকম পোস্ট পড়তে নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। বন্ধুদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে তাদের উক্ত সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতে সাহায্য করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url