হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ বর্তমান সময়ের একটি সাধারণ সমস্যা। ছোট-বড় ছেলে-মেয়ে কম বেশি সবাই এই সমস্যায় পড়ে। তাই আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা আরো আলোচনা করব হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়, হাই প্রেসারের ঔষধের নাম কি, দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়, প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত।
তাই হাই প্রেসার জনিত সমস্যা থেকে বাঁচতে এবং হাই প্রেসার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়
হঠাৎ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার বেড়ে গেলে কিছু সাধারন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তবে এর মাত্রা খুব বেশি বা বিপদজনক হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। তারপরও তাৎক্ষণিক প্রাথমিক কিছু করণীয় রয়েছে। হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় কাজ হলঃ
পানি পান করুনঃ পানি আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তাই ঠান্ডা পানি পান করলে শরীর একটু শীতল হবে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে।
শান্ত থাকুনঃ উদ্যোগ বা চিন্তা কমানোর চেষ্টা করুন কারণ চিন্তায় এবং মানসিক চাপ ব্লাড প্রেসার আরো বেশি বৃদ্ধি করতে পারে। তাই যত সম্ভব চিন্তাভাবনা বা উদ্বিগ্ন না হওয়ার চেষ্টা করুন।
বসুন এবং আরাম করুনঃ যদি সম্ভব হয় তাহলে চেয়ারে বসে থাকুন এবং আপনার শরীরকে বিশ্রাম দিন। তবে উচ্চ রক্তচাপ হলে একবারে শুয়ে পড়বেন না।
ধীরে শ্বাস নিনঃ উচ্চ রক্তচাপ হলে আপনার শ্বাস প্রশাসনের সমস্যা হতে পারে। তাই নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নেড়ে এবং মুখ দিয়ে ছাড়ুন। এটি আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে।
ঠান্ডা পানিতে হাত মুখ ধোয়াঃ পানি পান করার পাশাপাশি ঠান্ডা পানি দ্বারা হাতমুখ ধৌত করতে পারেন অথবা প্রয়োজনে মাথায় হালকা করে ঠান্ডা পানি দিতে পারেন। এতে করে আপনার শরীর ঠান্ডা হবে এবং কিছুটা আরাম পাওয়া যাবে।
গভীর শ্বাস ও শিথিলতাঃ কোভিদ সাহস এসেছিল তার একমাত্র উপায় হচ্ছে মেডিটেশন। তাই উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন করতে পারেন।
ক্যাফিন বললাম যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুনঃ আমরা জানি লবযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। তাই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার কমাতে অবশ্যই লবণ এবং ক্যাফেইন খাবেন না।
যদি হাই প্রেসারের বেশি লক্ষণ যেমন চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা ব্যাথা করা, বমি ভাব বা বমি হওয়া, ভুলে যাওয়া, আবোল তাবোল বকা, ঘুমিয়ে পড়া কিংবা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অস্থিরতা, বুকে পিঠে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট পিঠে ব্যথা দেখা যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। কারণ এসব লক্ষণ অনেক সময় হিতের বিপরীত হতে পারে। আজকের পোস্ট থেকে আমরা জানবো হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
প্রেসার বা রক্তচাপ মাঝেমধ্যেই উঠানামা করে অর্থাৎ কখনো কম কখনো বা বেশি। বেশি রক্তচাপ কি আমরা সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ বলে জানি। রক্তচাপ ওঠানামা করা মোটেও ভালো কোন লক্ষণ নয়। তাই একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই প্রেসার সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে। হঠাৎ যদি আপনার প্রেসার হাই হয়ে যায় তাহলে ঘরোয়া উপায়ে তাৎক্ষণিক কোন কাজগুলো করতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।
হঠাৎ ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়াভাবে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে এগুলো সাময়িক সমাধান এবং দীর্ঘমেয়াদে নয়। অবস্থা যদি গুরুতর হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়া উচিত। হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় হলোঃ
গভীর শ্বাস নিন
ধীরে ধীরে শ্বাস গ্রহণ করুন এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। প্রয়োজনে নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করে মুখ দিয়ে ছাড়ুন। এতে আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে এবং স্নায়ুতন্ত্র শিথিল হয়ে যাবে। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে আসবে।
রসুন খান
রসুনের কিছু কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
হলুদ ও মধু মিশিয়ে খান
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রথম হলুদ ও মধু কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ভাই আপনার ঘরে যদি মধু ও হলুদ থাকে তাহলে এক চামচ মধুর মধ্যে এক চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে কুসুম গরম পানিতে দিয়ে খেয়ে নিন। এতে করে রক্ত চলাচল সহজ হবে এবং রক্তচাপ কমে যাবে।
পটাশিয়াম জাতীয় খাবার খান
পটাশিয়াম জাতীয় খাবার চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। পটাশিয়াম জাতীয় কিছু খাবার হল কলা, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়া, কমলা, মিষ্টি আলু ইত্যাদি। পটাশিয়াম আমাদের শরীরের সোডিয়ামের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে যা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ডার্ক চকলেট খান
ডার্ক চকলেটে একটি বিশেষ উপাদান থাকে যার নাম হল ফ্লাভোনয়ড। যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই মাঝে মাঝে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে।
ঠান্ডা পানি পান করা
ঠান্ডা পানি আমাদের শরীরকে শীতল রাখে। তাই হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে ঠান্ডা পানি পান করুন। এতে করে উদ্বিগ্ন কমে যাবে এবং শরীর শীতল ও ঠান্ডা হবে।
লবণ বা নুন খাবেন না
লবন বা নুন আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অবশ্যই লবণ বা নুন খাবেন না। প্রয়োজনীয় লবণ ভেজে খেতে পারেন।
শাকসবজি ও ফল খান
হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে আপনাকে কিছু কিছু সবজি ও ফল ক্ষেতের হতে পারে। যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যেমন গোটা শস্য, সিমের বিচি, ডাল, ছোলা, লাল আটা, সবজি, আলু, তরমুজ, টমেটো, বাদাম, লাল চালের ভাত, দুধ ইত্যাদি।
কম চর্বিযুক্ত খাবার খান
যে সকল খাবারে চর্বির পরিমাণ একদমই কম সেই সফল খাবার প্রতিদিন খেতে পারেন। এতে করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
নিয়মিত শরীর চর্চা করুন
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আপনাকে অবশ্যই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আপনাকে নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। যত বেশি শরীর চর্চা করবেন তত বেশি রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে।
হাই প্রেসারের ঔষধের নাম কি
হাই প্রেসার হলে ডাক্তারগন প্রেসারের পরিমাপের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সাজেস্ট করেন। তাই যে কোন প্রেসারের ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই আপনার শরীরের কন্ডিশন অর্থাৎ সিস্টোলিক ও ডায়াস্টলিক চাপ পরিমাপ করে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধ সেবন করা উচিত। আজকের পোস্টের আলোচনার বিষয় ছিল হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে গেছি। হাই প্রেসারের জন্য ডাক্তারগণ যে ঔষধ সাজেস্ট করেন তার ধরণ নিম্নরুপঃ
- এনআরবিঃ Valsartan, Irbesartan, Candesartan
- আলফা ব্লকারঃ Terazosin, Doxazosin, Prazosin
- বিটাব্লকার জাতীয় ঔষধঃ Metoprolol, Atenolol, Bisoprolol
- ডাইইউরেটিকস জাতীয় ঔষধঃ Hydrochlorothiazide, Chlortalidone
- ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার জাতীয় ঔষধঃ Nifedipine, Amlodipine
- এসিই ইনহিবিটরসঃ Fosinopril, Quinapril, Lisinopril, Enalapril, Ramipril
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
উপরিক্ত তথ্য থেকে আমরা জেনে গেছি হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর কিছু কিছু বিশেষ উপায় রয়েছে যেগুলো দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত মেনে চললে হাই প্রেসার কমে যাবে। তাই এখন আমরা জানবো দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লেবু পানি খেতে পারেন।
- যদিও উচ্চ রক্তচাপ হঠাৎ করে বেড়ে যায় তাহলে দ্রুত চলাচল কমিয়ে দিন এবং স্থির থাকুন।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য শান্তশিষ্ট ঠান্ডা মনোরম পরিবেশ নির্বাচন করুন।
- অনেক মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন ঘি মাখন ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- আদার মতো তেঁতুলও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তেতুলের রস খান।
- অতিরিক্ত তৈলাত্মক ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- আদা একটি সুপার ফুড। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আদা রাখুন।
- ধূমপান মদ্যপান থেকে যত সম্ভব দূরে থাকুন। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আমাদের এন্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই জাতীয় খাবারগুলো হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এমন কিছু খাবারের তালিকা হলোঃ
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল
কমলা, কলা, তরমুজ, পেঁপে এবং আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যার শরীরের সোডিয়াম এর মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই হাই প্রেসার থেকে বাঁচতে নিয়মিত পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
বেরি জাতীয় ফল
বেরি জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রক্তনালীকে সিথির রাখতে সাহায্য করে। কিছু বেরি জাতীয় ফল হল স্ট্রবেরি, রাসবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, পালংশাক ইত্যাদি।
রসুন
রসুন এ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে ফ্রাভোনয়েড রয়েছে যা রক্তনালী প্রসারণের সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীর সুস্থ রাখে।
লো ফ্যাট ও দুদ্ধজাত খাবার
দুদ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে অতিরিক্ত চর্বি থাকলে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
বীটরুট
বীটরুটে নাইট্রেট থাকে যা আমাদের রক্তনালিকে প্রসারিত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
লেখকের মন্তব্য
আজকের পোস্ট থেকে আমরা জানলাম হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা আরো আলোচনা করেছি হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়, হাই প্রেসারের ঔষধের নাম কি, দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়, প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত।
সর্বপরি পোস্টটি ভালো লাগলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন। আমরা আপনাদের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সরবরাহ করি। বন্ধুদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে তাদের ঘরোয়া উপায়ে হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে সাহায্য করুন।
রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url