nid card check বাংলাদেশ এক নিমিষেই
এনআইডি কার্ডে প্রয়োজনীয় একটি কার্ড। এনআইডি কার্ডের সম্পূর্ণ নাম হচ্ছে ন্যাশনাল আইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র। বাংলাদেশের নাগরিকগণ 18 বছরে পদাপন্ন করলে জাতীয় পরিচয় পত্র পেয়ে থাকে। এনআইডি কার্ড হওয়ার অনেকদিন পর পর্যন্ত কার্ড হাতে পাওয়া যায় না তাই আজকের পোস্ট থেকে আমার জানবো nid card check বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা আরো জানবো nid নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা, পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে, ভোটার আইডি কার্ড চেক 2024 সম্পর্কে বিস্তারিত।
তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
nid card check বাংলাদেশ
NID কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধিত হওয়ার পরেও অনেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্ড হাতে পায় না। তখন তারা নানারকম দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকে যে কিনা এনআইডি কার্ড এখনো বের হয়নি অথবা তৈরি হয়নি। এটিকে নানা রকম কাজের প্রয়োজনে nid কার্ডের কপি প্রয়োজন হয়। তাই অনলাইনে অনেক এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করে nid Card check করার জন্য। তাই আজকে আমরা তাদের জন্য আলোচনা করব কিভাবে nid card check করা যায় অনলাইনে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
ভোটার আইডি কার্ড ( nid card) চেক করার সাধারণত তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে ফরম নাম্বার বা ভোটার স্লিপ নাম্বার দিয়ে এন আইডি কার্ড চেক এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে অন্য কোন ব্যক্তির এনআইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে এনআইডি চেক। এখন আমরা জানবো স্লিপ নাম্বার বা ফরম নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড চেক সম্পর্কে।
স্লিপ নাম্বার দিয়ে nid card check বাংলাদেশ
স্লিপ নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড চেক করতে হলে আপনাকে প্রথমে Service.nidw.gov.bd নামক ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। আপনার যদি এখানে কোন অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে সর্বপ্রথম রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করে একাউন্ট খুলতে হবে। ধাপগুলো নিম্নরুপঃ
- অনলাইনে nid card check
- সর্বপ্রথম nid ওয়েবসাইটে যান ( https:services.nidw.gov.bd)
- অ্যাকাউন্ট তৈরি বা লগইন করুন
- যদি আপনার অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে create account বাটনে ক্লিক করুন
- নিবন্ধনের জন্য আপনার nid নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং মোবাইল নম্বর দিন
- লগইন করার পর যাচাই করুন
মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে nid card check
- প্রথম মোবাইলের প্লে স্টোরে যান
- NID wallet নামক অ্যাপসটি ডাউনলোড করুন
- এবার ইনস্টল করে লগইন করুন
- আপনার প্রয়োজনের তথ্য দিয়ে nid card check করুন
মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে nid card check করুন
মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে এনআইডি কার্ড চেক করা যায়। এজন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SC লিখে স্পেচ দিয়ে NID লিখে আবার স্পিচ দিয়ে ১৭ ডিজিটাল এনআইডি নাম্বার লিখতে হবে। যদি আপনার এনআইডি নাম্বার ১৩ ডিজিটের সংখ্যা হয় তাহলে শুরুতে সাল যুক্ত করে নিম্নোক্ত ভাবে লিখবেন।
SC NID 20013876527898563
কিন্তু বর্তমানে উক্ত সেবাটি বন্ধ রয়েছে। তাই যদি কোন বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের হেল্পলাইন ১০৫ এ কল করতে পারেন।
nid নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা
প্রিয় পাঠক আপনি কি nid নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা এখন আমরা nid নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। উপরিক্ত তথ্য থেকে আমরা ইতিমধ্যেই nid card check বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। যারা ২০১৯ সালের পরবর্তী সময়ে ভোটার হয়েছেন তারা নিজেরাই অনলাইন থেকে nid নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
এজন্য আপনাকে শুধুমাত্র আপনার ভোটার স্লিপের নাম্বারটি প্রয়োজন হবে এবং আপনার জন্ম তারিখ প্রয়োজন হবে। এখান থেকে আপনি আইডি কার্ড ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন nid নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম গুলো জেনে নিই।
- সর্বপ্রথম আপনাকে nidw.gov.bd নামক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটটি সরাসরি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনারের প্রধান ওয়েব সাইটে নিয়ে যাবে।
- পেজটিতে প্রবেশের পর আপনি যদি ওয়েবসাইটের সুবিধা ভোগ করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে রেজিস্টার করতে হবে।
- রেজিস্টার করার জন্য আপনার সামনে তিনটি প্রয়োজনীয় তথ্যের প্রয়োজন হবে, আপনার NID নাম্বার, জন্মতারিখ, এবং সিকুরিটি ক্যাপচা কোড। তারপর সাবমিট করে দিন।
- পরবর্তী ধাপে আপনাকে আপনার ভোটার এলাকা সিলেক্ট করতে হবে। ( আপনার বর্তমান, স্থায়ী ঠিকানা, উপজেলা, জেলা, বিভাগ ইত্যাদি)
- তারপর আপনার সামনে নতুন একটি পেজ আসবে যেখানে আপনার ব্যবহৃত নাম্বার যেটি দিয়েছেন সেটি আসবে ( আপনি চাইলে পরিবর্তন করতে পারেন)। নাম্বারটিতে একটি সিকুরিটির জন্য ৬ সংখ্যার OTP কোড যাবে। কোডটি দিয়েয়ে ভেরিফাই করুন।
- এবার এনআইডি কার্ডের ছবি ম্যাচ করার জন্য আপনার ফেস ভেরিফাই করতে হবে। সেখানে একটি QR কোড আসবে। আপনারই স্মার্ট ফোনে NID Wallet নামক একটি ইনস্টল করে কোডটি স্ক্যান করুন এবং ক্যামেরার সামনে আপনার চেহারা তুলে ধরুন।
- যদি আপনার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয় তাহলে একটি পাসওয়ার্ড চাইবে আপনি চাইলে এটি স্কিপও করতে পারেন কিন্তু পরবর্তীতে লগইন বা সেবা গ্রহণ করার সময় প্রয়োজন হতে পারে।
উপরের ধাপগুলো সম্পন্ন হলে আপনি nid ড্যাশবোর্ডে অবস্থান করবেন এবং পেজের ডান পাশের দিকে ডাউনলোড লেখাতে ক্লিক করলে আপনার এনআইডি নাম্বার দিয়ে কার্ড বের করতে পারবেন।
উপরিক্ত ধাপগুলি অতিক্রম করে আপনি nid ডাউনলোড করে কার্ড প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারে যতদিন না পর্যন্ত আসল ( সরকার প্রদত্ত) কার্ড হাতে না পাওয়া যায়। আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানলাম nid card check বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত।
পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে
উপরিক্ত তথ্য থেকে আমরা ইতিমধ্যেই nid card check বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনেছি। এখন যদি আপনি অনেক পুরাতন আইডি কার্ডের মালিক হন এবং আপনার আইডি কার্ডটি হারিয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায়, ছিড়ে যায় অথবা চুরি হয়ে যায় তাহলে করণীয় কি? প্রথমত আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো হলোঃ
- থানায় সাধারণত GD অথবা ডায়েরি করুন
- NID service নামক সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করুন
- NID Card রিইস্যুর জন্য পুনরায় আবেদন করুন। ( অবশ্যই ২৩০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে)
- অতপর পুরাতন NID Card ডাউনলোড করুন।
উপরোক্ত উপায়ে একজন ব্যক্তির পুরাতন এনআইডি কার্ড নতুন ভাবে সংগ্রহ করা যায়। যেকোনোভাবেই এনআইডি কার্ড সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে হলে services.nidw.gov.bd নামক সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। NID হারিয়ে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় লিখিত জিডি (GD) করতে হবে। অতপর আগের মতে ফি পরিশোধ করে এনআইডি নাম্বার বা ফরম নম্বর, জন্ম সাল এবং সর্বশেষ ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।
স্মার্টফোনের মাধ্যমে এবং ফেস ভেরিফিকেশন করে এনআইডি কার্ড চেক করতে পারেন। যদি কোন মৃত ব্যক্তির পুরাতন এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে চান তাহলে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক
প্রতিটি ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করার নিয়ম একই রকম। প্রতিক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে এবং পুনরায় রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট থাকলে লগইন করে সেবা গ্রহণ করতে হবে। তবে ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড সংগ্রহ নিয়মটা একটু ব্যতিক্রম। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে করে রেজিস্টার করে ভোটার স্লিপ নাম্বার এর আগে NIDFN টাইপ করে স্লিপ এর নাম্বারটা লিখতে হবে। তারপর জন্ম তারিখ দিয়ে ক্যাপচার পূরণ করতে হবে।
এবার আপনার স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচন করে, মোবাইল নাম্বার এবং ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে রেজিস্টার করুন। সাইন ইন করার পর ড্যাশবোর্ডের বাম পাশে ডাউনলোড লেখাতে ক্লিক করে এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করুন এবং প্রিন্ট করে লেমেনেটিং করে সব জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানলাম nid card check বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত।
ভোটার আইডি কার্ড চেক 2024
আপনি নতুন ভোটার হয়েছেন কিন্তু আপনার ভোটার আইডি কার্ড হয়েছে কিনা সেটি কেমনে বুঝবেন? সেটি বোঝার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হবে। আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জেনেছি nid card check বাংলাদেশ সম্পর্কে। এখন আমরা ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ সম্পর্কে জানব।
- প্রথমত services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
- তারপর রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলুন
- আপনার ভোটার নম্বর লিখুন
- অথরা NIDFN লিখে ফরম নাম্বারটি লিখুন
- আপনার জন্মতারিখটি দিন
- সিকুরিটি ক্যাপচা পূরণ করুন
- অতপর সাবমিট করে দিন
- এখন আপনার সঠিক ঠিকানা দিন
- মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করুন
- একটি পাসওয়ার্ড সেট করে নিন
উপরিক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারেন। বর্তমান সময়ের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যায়। আবার অনেকে মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড চেক করে।
লেখকের মন্তব্য
উপরের তথ্য থেকে আমরা জেনেছি nid card check বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা আরো
জেনেছি nid নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা, পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে, ভোটার আইডি কার্ড চেক 2024 সম্পর্কে বিস্তারিত।
আশা করছি পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমরা আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করে থাকি। যে সকল বন্ধুগণ এনআইডি কার্ড সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাই তাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে তাদের এনআইডি কার্ড চেক করতে সাহায্য করুন।
রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url