পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত জেনে নিন
প্রিয় ভ্রমণপ্রিয় ভাই ও বোনেরা, শীতের শুরুটা ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত। এই শীতে পরিবারের সঙ্গে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছেন কি? আসলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। অনুকূল আবহাওয়া দেখেই হুট করে বেরিয়ে পড়লেই তো চলে না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেলে কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি, যাতে ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করার পাশাপাশি নিরাপদ ও স্মরণীয় করা যায়। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব, পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত ও যে দরকারি জিনিসপত্র সাথে রাখতে পারেন তা নিয়ে।
#১. ভ্রমণ এলাকার খোজখবর
পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে ভ্রমণ এলাকার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন জায়গায় থাকবেন, আশেপাশে দর্শনীয় স্থানগুলো কী, খাবারের ব্যবস্থা কেমন—এসব বিষয় আগে থেকে জানলে ভ্রমণ সহজ হবে। এছাড়া এলাকার নিরাপত্তা, আবহাওয়া, এবং স্থানীয় নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত। এতে করে আপনি আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রেখে নিশ্চিত থাকতে পারবেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যাতায়াত ব্যবস্থা। যেখানেই যাচ্ছেন, সেই জায়গায় পৌঁছাতে কি কি ধরনের পরিবহন সহজলভ্য, যাতায়াত খরচ কেমন হতে পারে এবং সেখানে পৌঁছানোর পর লোকাল ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবস্থা কেমন—এসব বিষয় আগেই খোঁজ নিয়ে রাখা ভালো। পরিবারসহ ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রস্তুতি, যাত্রাকে করে তুলবে আরো নির্ঝঞ্ঝাট ও উপভোগ্য।
#২. থাকার জায়গা ও টিকেট বুকিং দেওয়া
পরিবার নিয়ে ভ্রমণে গেলে আগে থেকেই থাকার জায়গা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় বুকিং করে রাখতে পারেন। ছুটির সময়ে, জনপ্রিয় পর্যটকস্থানে ভিড় বেশি থাকে। তাই আগে থেকে হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করলে জায়গা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এছাড়া পরিবহনের জন্য ট্রেন বা বিমানের টিকিট আগেই কেটে রাখা ভালো, যাতে শেষ মুহূর্তের ঝামেলা এড়ানো যায়।
ভ্রমণস্থানে ট্যুর গাইড বা বিশেষ কোনো ট্যুর প্যাকেজের প্রয়োজন হলে সেটিও আগে থেকে বুক করা যায়। এতে ভ্রমণ হবে আরও পরিকল্পিত, এবং ভ্রমণস্থানের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটক স্থানগুলিও মিস হবে না।
#৩. সঠিক ব্যাগ বাছাই
ভ্রমণের জন্য সঠিক ব্যাগ বা লাগেজ নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভ্রমণের ধরণ অনুযায়ী ব্যাগের আকার, ওজন এবং সুবিধা নির্ধারণ করা উচিত। দূরের ভ্রমণ হলে শক্ত আর আকারে বড় ব্যাগ এবং কাছের জায়গায় ভ্রমণ হলে ছোট ব্যাগই যথেষ্ট। ছোটখাটো জিনিস যেমনঃ ওষুধ, স্ন্যাকস, পানি, এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের জন্য একটি হ্যান্ডব্যাগ বা সাইডব্যাগ সঙ্গে রাখা ভালো। এতে যেকোনো সময় এগুলো সহজে হাতের কাছে পাওয়া যায়।
ব্যাগ প্যাক করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন অপ্রয়োজনীয় কিছু না থাকে, কারণ অতিরিক্ত ওজন ভ্রমণের আনন্দ নষ্ট করে তিক্ত অভিজ্ঞতা দিতে পারে। এছাড়া, পরিবারের সবার আলাদা আলাদা প্রয়োজনীয় জিনিস এক জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন। স্যান্ডেল বা জুতা পলিথিন বা কাগজে মুড়িয়ে ব্যাগে নিতে পারেন। এতে কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র নোংরা হবে না।
যথাযথ পোশাক নিন
ভ্রমণের স্থান ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই পোশাক নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভ্রমণের জায়গায় যদি ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে, তবে গরম কাপড়, জ্যাকেট, এবং প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র সঙ্গে রাখা উচিত। আবার, গরম জায়গায় ভ্রমণে গেলে হালকা ও আরামদায়ক পোশাক, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন, এবং টুপি বা হ্যাট নিয়ে যেতে হবে।
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক সদস্যদের জন্য আরামদায়ক পোশাকের ব্যবস্থা করা দরকার, যাতে ভ্রমণের সময় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে। এছাড়া, কিছু অতিরিক্ত পোশাক ও ফুটওয়্যার সঙ্গে রাখা ভালো। কারণ ভ্রমণের সময় অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পোশাক পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
ভ্রমণের ও যাত্রাপথে প্রয়োজনীয় ওষুধ
ভ্রমণের সময় পরিবারের সবার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখা উচিত, বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই কোনো অসুস্থতা আছে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বা হাঁপানির মতো রোগে ভুগলে সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলো হাতে রাখা জরুরি। পাশাপাশি, হঠাৎ অসুস্থতা বা আঘাতের জন্য কিছু প্রাথমিক ওষুধও থাকা ভালো।
যাত্রা পথে বমি বা মাথা ঘোরানোর সমস্যা অনেকেরই হতে পারে, তাই বমির ওষুধ বা মোশন সিকনেসের জন্য কিছু ট্যাবলেট সঙ্গে রাখুন। এছাড়া, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা পেটের অস্বস্তির জন্য অ্যান্টাসিড এবং কিছু হজম সহায়ক ওষুধও রাখতে পারেন।
ভ্রমণের সময় ছোটখাটো আঘাত, কাটা বা পোড়া লাগার মতো পরিস্থিতির জন্য একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কিট সঙ্গে রাখা ভালো। ব্যান্ডেজ, তুলা, অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড, গজ, এবং ছোট কাঁচি মতো জিনিসপত্র এতে রাখা উচিত, যাতে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ
ইলেকট্রনিকস ও গ্যাজেটস
চুলের যত্নের জন্য ছোট আকারের শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং চিরুনি সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। এছাড়া, চুলের সিরামও নিতে পারেন, যা চুলকে মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে। পরিচ্ছন্নতার জন্য স্যানিটাইজার, ওয়েট টিস্যু, এবং টয়লেট টিস্যু যাত্রার সময় অনেক কাজে লাগে।
যাত্রাপথে সতেজ অনুভূতির জন্য ছোট পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট সঙ্গে রাখলে ভালো হয়। অনেক সময় ক্লান্তি কাটানোর জন্য ফেস স্প্রেও কাজে আসে। সুঘ্রাণ আপনাকে এক অন্যরকম সতেজ অনুভূতি দিবে। এসব প্রসাধনী যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনাকে প্রফুল্ল রাখতে সহায়ক।
যে সকল বন্ধুরা তাদের পরিবার নিয়ে ভ্রমণে যেতে চাই তাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে তাদের ঘুরতে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানতে সাহায্য করুন।
তাই একটি হ্যাপি জার্নি করার জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন।
ঘুরতে যাওয়ার আগে যে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
পরিবারে সবার দায়িত্ব যখন আপনার উপর, তখন তাদের নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে যথাসম্ভব পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রাখাই ভালো। এতে করে আকস্মিক যেকোনো সমস্যা এড়ানো সহজ হবে। নিচে আমরা ধারাবাহিকভাবে আপনাদের জন্য সহজ ও কার্যকরী কিছু টিপস শেয়ার করছি। Forbes এবং Ordinary Traveler এর মতো আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিনগুলোও একই বিষয় কথা বলেছে।তাই ভ্রমণে যাওয়ার আগে এই টিপসগুলো জেনে নিন এবং নিজে ও নিজের পরিবারকে তৈরি করুন একটি নিরাপদ সফরের জন্য। এখন আমরা জানবো পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত ও যে দরকারি জিনিসপত্র সাথে রাখতে পারেন তা নিয়ে।। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক উক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত।
#১. ভ্রমণ এলাকার খোজখবর
পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে ভ্রমণ এলাকার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন জায়গায় থাকবেন, আশেপাশে দর্শনীয় স্থানগুলো কী, খাবারের ব্যবস্থা কেমন—এসব বিষয় আগে থেকে জানলে ভ্রমণ সহজ হবে। এছাড়া এলাকার নিরাপত্তা, আবহাওয়া, এবং স্থানীয় নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত। এতে করে আপনি আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রেখে নিশ্চিত থাকতে পারবেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যাতায়াত ব্যবস্থা। যেখানেই যাচ্ছেন, সেই জায়গায় পৌঁছাতে কি কি ধরনের পরিবহন সহজলভ্য, যাতায়াত খরচ কেমন হতে পারে এবং সেখানে পৌঁছানোর পর লোকাল ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবস্থা কেমন—এসব বিষয় আগেই খোঁজ নিয়ে রাখা ভালো। পরিবারসহ ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রস্তুতি, যাত্রাকে করে তুলবে আরো নির্ঝঞ্ঝাট ও উপভোগ্য।
#২. থাকার জায়গা ও টিকেট বুকিং দেওয়া
পরিবার নিয়ে ভ্রমণে গেলে আগে থেকেই থাকার জায়গা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় বুকিং করে রাখতে পারেন। ছুটির সময়ে, জনপ্রিয় পর্যটকস্থানে ভিড় বেশি থাকে। তাই আগে থেকে হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করলে জায়গা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এছাড়া পরিবহনের জন্য ট্রেন বা বিমানের টিকিট আগেই কেটে রাখা ভালো, যাতে শেষ মুহূর্তের ঝামেলা এড়ানো যায়।
ভ্রমণস্থানে ট্যুর গাইড বা বিশেষ কোনো ট্যুর প্যাকেজের প্রয়োজন হলে সেটিও আগে থেকে বুক করা যায়। এতে ভ্রমণ হবে আরও পরিকল্পিত, এবং ভ্রমণস্থানের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটক স্থানগুলিও মিস হবে না।
#৩. সঠিক ব্যাগ বাছাই
ভ্রমণের জন্য সঠিক ব্যাগ বা লাগেজ নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভ্রমণের ধরণ অনুযায়ী ব্যাগের আকার, ওজন এবং সুবিধা নির্ধারণ করা উচিত। দূরের ভ্রমণ হলে শক্ত আর আকারে বড় ব্যাগ এবং কাছের জায়গায় ভ্রমণ হলে ছোট ব্যাগই যথেষ্ট। ছোটখাটো জিনিস যেমনঃ ওষুধ, স্ন্যাকস, পানি, এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের জন্য একটি হ্যান্ডব্যাগ বা সাইডব্যাগ সঙ্গে রাখা ভালো। এতে যেকোনো সময় এগুলো সহজে হাতের কাছে পাওয়া যায়।
ব্যাগ প্যাক করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন অপ্রয়োজনীয় কিছু না থাকে, কারণ অতিরিক্ত ওজন ভ্রমণের আনন্দ নষ্ট করে তিক্ত অভিজ্ঞতা দিতে পারে। এছাড়া, পরিবারের সবার আলাদা আলাদা প্রয়োজনীয় জিনিস এক জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন। স্যান্ডেল বা জুতা পলিথিন বা কাগজে মুড়িয়ে ব্যাগে নিতে পারেন। এতে কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র নোংরা হবে না।
যথাযথ পোশাক নিন
ভ্রমণের স্থান ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই পোশাক নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভ্রমণের জায়গায় যদি ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে, তবে গরম কাপড়, জ্যাকেট, এবং প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র সঙ্গে রাখা উচিত। আবার, গরম জায়গায় ভ্রমণে গেলে হালকা ও আরামদায়ক পোশাক, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন, এবং টুপি বা হ্যাট নিয়ে যেতে হবে।
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক সদস্যদের জন্য আরামদায়ক পোশাকের ব্যবস্থা করা দরকার, যাতে ভ্রমণের সময় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে। এছাড়া, কিছু অতিরিক্ত পোশাক ও ফুটওয়্যার সঙ্গে রাখা ভালো। কারণ ভ্রমণের সময় অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পোশাক পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
ভ্রমণের ও যাত্রাপথে প্রয়োজনীয় ওষুধ
ভ্রমণের সময় পরিবারের সবার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখা উচিত, বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই কোনো অসুস্থতা আছে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বা হাঁপানির মতো রোগে ভুগলে সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলো হাতে রাখা জরুরি। পাশাপাশি, হঠাৎ অসুস্থতা বা আঘাতের জন্য কিছু প্রাথমিক ওষুধও থাকা ভালো।
যাত্রা পথে বমি বা মাথা ঘোরানোর সমস্যা অনেকেরই হতে পারে, তাই বমির ওষুধ বা মোশন সিকনেসের জন্য কিছু ট্যাবলেট সঙ্গে রাখুন। এছাড়া, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা পেটের অস্বস্তির জন্য অ্যান্টাসিড এবং কিছু হজম সহায়ক ওষুধও রাখতে পারেন।
ভ্রমণের সময় ছোটখাটো আঘাত, কাটা বা পোড়া লাগার মতো পরিস্থিতির জন্য একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কিট সঙ্গে রাখা ভালো। ব্যান্ডেজ, তুলা, অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড, গজ, এবং ছোট কাঁচি মতো জিনিসপত্র এতে রাখা উচিত, যাতে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ভ্রমণের সঙ্গে রাখার মতো দরকারি জিনিসপত্র
পরিবার নিয়ে ভ্রমণে গেলে নির্দিষ্ট কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখা ভলো। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো, পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত ও যে দরকারি জিনিসপত্র সাথে রাখতে পারেন তা নিয়ে।। নিচে কিছু দরকারি জিনিসপত্রের তালিকা দেওয়া হলোঃ
নিত্যপ্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ
- টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, এবং ফেসওয়াশ
- স্যানিটারি ন্যাপকিন বা বেবি ওয়াইপস
- হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং টিস্যু
- ছোট প্যাকেট সাবান বা শ্যাম্পু
- মোবাইল চার্জার এবং পাওয়ার ব্যাংক
- হেডফোন বা ইয়ারফোন
- ক্যামেরা এবং অতিরিক্ত ব্যাটারি
- ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ (যদি প্রয়োজন হয়)
- মুখে পরার মাস্ক এবং গ্লাভস
- ব্যক্তিগত হ্যান্ড স্যানিটাইজার
- ছোট প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স (ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম)
- শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
- শিশুদের পছন্দের স্ন্যাকস ও ড্রিংক
- বেবি ডায়াপার, ওয়াইপস, এবং পাউডার
- প্রয়োজনীয় খেলনা বা বই, যাতে তারা মজা পায়
- অতিরিক্ত পোশাক ও ছোট কম্বল
- শুকনো খাবার যেমন বিস্কুট, চিপস, এবং ড্রাই ফ্রুটস
- পানি এবং জুস বা এনার্জি ড্রিঙ্কস
- যেকোনো ব্যক্তিগত পছন্দের স্ন্যাকস বা স্বাস্থ্যকর খাবার
- পরিচয়পত্র এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত নথিপত্র (যেমন টিকিট, বুকিং কনফার্মেশন)
- ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড এবং পর্যাপ্ত ক্যাশ
- পরিবারের সবার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র
ভ্রমণের ও যাত্রাপথে প্রয়োজনীয় প্রসাধনী
ভ্রমণের সময় ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার, ফেস ক্রিম, এবং সানস্ক্রিন সঙ্গে রাখা ভালো। এতে রোদে বের হলে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে। তাছাড়া, ঠোঁটের শুষ্কতা এড়াতে লিপ বাম নিতে পারেন।চুলের যত্নের জন্য ছোট আকারের শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং চিরুনি সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। এছাড়া, চুলের সিরামও নিতে পারেন, যা চুলকে মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে। পরিচ্ছন্নতার জন্য স্যানিটাইজার, ওয়েট টিস্যু, এবং টয়লেট টিস্যু যাত্রার সময় অনেক কাজে লাগে।
যাত্রাপথে সতেজ অনুভূতির জন্য ছোট পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট সঙ্গে রাখলে ভালো হয়। অনেক সময় ক্লান্তি কাটানোর জন্য ফেস স্প্রেও কাজে আসে। সুঘ্রাণ আপনাকে এক অন্যরকম সতেজ অনুভূতি দিবে। এসব প্রসাধনী যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনাকে প্রফুল্ল রাখতে সহায়ক।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক উপরিক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত ও যে দরকারি জিনিসপত্র সাথে রাখতে পারেন তা নিয়ে।। আশা করি, আমরা আপনাকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন তার একটি সুস্পষ্ট ধারনা দিতে পেরেছি। সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকলে পরিবার নিয়ে যেকোনো ভ্রমণ হয়ে উঠবে উপভোগ্য ও নিরাপদ।যে সকল বন্ধুরা তাদের পরিবার নিয়ে ভ্রমণে যেতে চাই তাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে তাদের ঘুরতে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানতে সাহায্য করুন।
রাজশাহীি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url